চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পাহাড়ঘেরা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৭। অভিযানে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
অভিযানটি পরিচালিত হয় বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে, যা দুপুর পর্যন্ত চলে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ওই অঞ্চলে অস্ত্র মজুদ করে রাখছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের বিশেষ দল নোয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় এবং বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল কার্তুজ ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোঃ হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন—“গোপন সংবাদের সূত্রে অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযানের প্রাথমিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।”
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটককৃতরা চট্টগ্রাম, রাউজান ও পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন অপরাধী গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র সরবরাহ করত। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো নাশকতা ও চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে মজুদ করা হয়েছিল বলে ধারণা করছে র্যাব।
অভিযান চলাকালীন র্যাব সদস্যরা পুরো এলাকায় নিরাপত্তা বলয় গঠন করে স্থানীয় জনগণকে নিরাপদ রাখেন। র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল উদ্ধারকৃত গোলাবারুদগুলো পরীক্ষা করে নিরাপদে সরিয়ে নেয়।
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল হাফিজুর রহমান আরও বলেন—“চট্টগ্রাম অঞ্চলে সন্ত্রাস ও অস্ত্র চোরাচালান বন্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটক দুইজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযান শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সম্প্রতি ওই এলাকায় অপরিচিত ব্যক্তিদের সন্দেহজনক চলাফেরা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। র্যাবের এই অভিযানের ফলে এলাকাবাসী স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধ ফিরে পেয়েছে।
একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলেন—“র্যাবের এই অভিযান না হলে এলাকা আবারও অপরাধচক্রের দখলে চলে যেত। আমরা প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।”র্যাব-৭ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ পরীক্ষার পর আইনি প্রক্রিয়ায় জব্দ তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি অস্ত্রচক্রের মূল হোতাদের শনাক্তে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।