চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, ১২ হাজার মানুষ পানি বন্দি

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২১৫ বার পঠিত

 

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৬সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল সমুহের প্রায় ১২হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।পানি বৃদ্ধির ফলে অষ্টমীরচর ও নয়ারহাট ইউনিয়নে গত কয়েকদিনে নদী ভাঙ্গনে প্রায় ১০টি পরিবার নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে দক্ষিণখাউরিয়া স্কুল এন্ড কলেজ,আশ্রয়ণ প্রকল্প,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু স্থাপনা।

জানাগেছে,উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের খোর্দ বাশপাতার,খারুভাজ,খামারবাশপাতার,ছালিপাড়া,চরমুদাফৎ কালিকাপুর ও নটারকান্দি এলাকাসমুহের প্রায় ৬হাজার মানুষ, নয়ারহাট ইউনিয়নের বজরা দিয়ারখাতা,
নাইয়ারচর,উত্তর খাউরিয়া পশ্চিমপাড়া ও খেরুয়া নতুনগ্রাম এলাকাসমুহের প্রায় দেড় হাজার মানুষ, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চরউদনা, চরবড়ভিটাসহ প্রায় দেড় হাজার মানুষ,রমনা ইউনিয়নের হরিণেরবন্দ এলাকাসহ প্রায় দেড় হাজার মানুষ এবং চিলমারী ইউনিয়নের নিচু এলাকাসমুহের প্রায় ৫শ মানুষসহ প্রায় ১২ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।এছাড়াও চরাঞ্চলসমুহের হাজার হাজার একর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।

এদিকে অষ্টমীরচর ইউনিয়নের চর মুদাফৎকালিকাপুর, নটারকান্দি, খোদ্দ বাশপাতার ও খামার বাশপাতার এলাকাসুমুহে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নয়ারহাট ইউনিয়নের চর খেদাইমারী এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও শত শত একর আবাদী জমি নদীতে ভেঙ্গে যাচ্ছে। ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে দক্ষিণ খাউরিয়া স্বুল এন্ড কলেজ, আশ্রয়ণ প্রকল্প, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু স্থাপনা।

সরেজমিনে উপজেলার রাজারভিটা, জোড়গাছ, পাত্রখাতা এলাকাসমুহ ঘুরে দেখা গেছে বেশ কিছু বাড়ীতে পানি উঠেছে এবং অধিকাংশ রাস্তা যোগাযোগের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়া রমনা ঘাট এলাকার মিজানুর রহমান জানান, করোনার ধাক্কা শেষ না হতেই আবার বন্যা, এ যেন“মরার উপর খরার ঘা”।
পাউবোর গেজ রিডার মো.জোবায়ের রহমান জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি ১০সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৯সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষের মাঝে এখন পর্যন্ত সরকারি কিংবা বে-সরকারীভাবে কোন সাহায্য দেয়া হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মহবুবুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবসময় বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।পানি বন্দি পরিবারের তালিকা করার জন্য চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর