কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণার আগে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় সদস্য প্রার্থী আলাউদ্দিনসহ অন্তত আট জন আহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ৭-নং ওয়ার্ডের ফেডারেশন কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন রেজা ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান,বৃহস্পতিবার অন্যান্য কেন্দ্রের মতো পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ফেডারেশন কেন্দ্রে দিনভর সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনা শুরু হয়। কিন্তু ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণার পূর্বেই ওই ওয়ার্ডের দুই সদস্য প্রার্থী আলাউদ্দিন (মোরগ প্রতীক) ও আবুল কালামের (টিউবওয়েল প্রতীক) সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায় বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। সংঘর্ষে অন্তত আট জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা সদস্যরা পক্ষ থেকে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা। তবে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারীতে নির্বাচনি দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন রেজা জানান, একটি কেন্দ্রে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। এতে সংঘর্ষে লিপ্ত উভয় পক্ষের সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তবে কোনও ককটেল বিস্ফোরণ কিংবা রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেনি।
আহতদের এমন দাবির বরাত দিয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েম জানান, পাইকেরছড়া ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আট জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চেখে আঘাতপ্রাপ্ত দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
‘আহতরা দাবি করেছেন, তারা রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতের কারণ নির্ণয় করে পরে জানানো হবে’ বলে জানান এ চিকিৎসক।