জাতীয় পতাকা নিয়ে কটুক্তি করলেন গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টারঃ বরগুনা আমতলী উপজেলা গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করা এবং পতাকাকে কটুক্তি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২ নং গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেনি এছাড়াও অনেক নিয়ম বহির্ভুত কার্যক্রম চলছে।ট্যাগ অফিসার ছাড়া জনগনের মাঝে বিজিডি কার্ডের চাল বিতরন করছে একজন গ্রাম পুলিশ মোঃ শানু চৌকিদার।অনিয়মের বিষয়ে অত্র এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমার পরিষদে কি করব না করব আমার ব্যাপার রাষ্টীয় আইন আমি তৈরী করি পতাকা উত্তোলন না করলে কিছু হয়না পতাকা উত্তোলন করা একটা ফাইজলামি বিষয় হিসেবে গন্য করে রাষ্টীয় আইনকে তোয়াক্কা করেন না তিনি এবং পতাকা তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় নয় বলে জানান। তবে মুঠোফোনের কথা শুনে এলাকাবাসী বলেন একজন চেয়ারম্যানের এরকম কথা বলা ঠিক হয়নি জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করা রাষ্টদ্রোহী অপরাধ বলে স্বীকার করেন। এব্যাপারে গ্রাম পুলিশ শানু চৌকিদার ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ নাজমুল হাসান কে অবহিত করলে ঘটনাস্থানে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করাটা রাষ্টীয় আইনের বহির্ভূত কাজ এবং রাষ্টীয় অপরাধ এবং চেয়ারম্যানের এমন রাষ্ট বিরোধী বক্তব্য সত্যি আশ্চর্য ও দুঃখ জনক।
পিয়াজের দাম আছে বলেই কৃষকরা মাঠ পাহারা দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন, বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী টিপু মুন্সি। এসময় তিনি বলেন, ভারত রপ্তানী বন্ধ করে দেয়ায় দেশ পেয়াজ সংকটে পড়েছে। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে পেয়াজ উৎপাদনে দেশকে সয়ংসম্পূর্ণ করা হবে। জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও সচেতনতা শীর্ষক প্রচার, সংবাদ সম্মেলন ও সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকর এসব কথা বলেন।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনরা কেএম তারিকুর ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রংফুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রশিক্ষন ব্যুরো, প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়,জনশক্তি কর্মসংস্থানের অতিরিক্ত মহাপরিচাল (অতিরিক্ত সচিব) কে এম রুহুল আমীন, রংপুর রেঞ্জ পুলিশের উপ মহা পরিদর্শক দেবদাস ভট্রাচার্জ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোহাঃ আবদুল আলীম মাহমুদ বিপিএম, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান প্রমুখ।
মন্ত্রী টিপু মুন্সি আরো বলেন, দেশে চার পাচটা ফ্লাইট বুক করে পিয়াজ আনা হয়েছে। হাজার খানিক টন আসছ্ েগতকালকে প্রথম দেশে আড়াই হাজার টন এসেছে। আজকেও আসবে এখন থেকে প্রতিদিনেই এক দেড় হাজার টন আসবে। প্রতিদিন দেশে যদি ৩ হাজার টন করে পিয়াজ আনা যেত তাহলে দেশে চাপটা কমতো। আমার দেশের পিয়াজ উৎপাদনকারীরা যদি দাম পায় একটু ভালো এবয় তারা যদি আরো উৎসাহিত হয় যে না দাম পাইছি। এসময় তিনি আরো বলেন, ২-৩ বছরের মধ্যে দেশ পেয়াজ উৎপাদনে সয়ংসম্পূর্ণ হলে কৃষককে ভালো দাম দিতে বিদেশ থেকে পেয়াজ আমদানী বন্ধ করে দেয়া হবে।
বানিজ্য মন্ত্রী আরো বলেন, পেয়াজবাহী জাহাজ দেশে আসায় এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কমবে বলেও জানান মন্ত্রী। রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কেএম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক একেএম রুহুল আমিন। অনুষ্ঠানে নিরাপদ অভিবাসন, উত্তরবঙ্গ থেকে জনশক্তি রপ্তানীর উপর বিশদ আলোচনা করা হয়।
মেহেরপুরের গাংনীতে পরীক্ষার ৩ দিন পর পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পিএসসি পরীক্ষার্থীর খাতা উদ্ধার করার খবর পাওয়া গেছে। গত ২৪ নভেম্বর ইং তারিখে পরীক্ষার শেষ দিনে পরীক্ষার্থীরা কক্ষে প্রবেশ করে ৩ দিন আগে অনুষ্ঠিত ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা পরীক্ষার ১ টি খাতা পড়ে থাকতে দেখে কক্ষ পরিদর্শকদের খবর দেয়া হয়। এ সময় পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার ফতাইপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা খাতাটি উদ্ধার করেন।
স্পর্শকাতর ঘটনাটি সাথে সাথেই ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র্। উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের মধ্যে ঘটনা ছড়্রেিয় পড়লে অবস্থা বিগতিক দেখে কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফয়সাল বিন হাসানকে খবর দেয়া হয়।এটিইও ফয়সাল বিন হাসান ঘটনা ধামাচাপা দিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকেও জানাননি।
পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা স্বীকার করে পত্রিকায় প্রকাশ না করার জন্য অনরোধ জানান। কেন্দ্র সচিব সূত্রে জানা গেছে,গাংনী উপজেলার পৌর সদরের চৌগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে ৫ টি কক্ষে সর্বমোট ২৪৫ জন শিক্ষার্থী এবছর পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। কেন্দ্রের দোতলায় ৪ নং কক্ষে ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ক ঐ দিন পরীক্ষা শেষে কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্বরত দু’জন শিক্ষিকা দায়িত্বে অবহেলা করে (রোল নং -৫০০৪) খাতা সংগ্রহ না করে হল সুপারকে ভুল তথ্য দিয়ে বাড়ী চলে আসে।
জানা গেছে, ঐ দিন কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে আযান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শিরিনা আক্তার বানু ও পাকুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুলতানা পারভীন দায়িত্বে ছিলেন।
এব্যাপারে সহকারী শিক্ষা অফিসার ফয়সাল বিন হাসান জানান, খাতাটি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি দুঃখজনক। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের গাফিলতি ছিল।পরীক্ষার্থী গাংনী প্রি ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলের ছাত্র।খবর ছড়িয়ে পড়লে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে পরীক্ষার্থীর অভিভাবক উদ্বিগ্ন। খাতা সংযুক্ত করা হবে বলে এটিইও আশ্বস্ত করেন।
এব্যাপারে শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, ৩ দিন আগে পরীক্ষার খাতা হারিয়েছে।এমন তথ্য আমাকে জানানো হয়নি। এমনকি ইউএনও মহোদয়কেও অবহিত করা হয়নি।খাতার কোড বসানো হলে সেই খাতা কিভাবে সংযুক্ত করা হবে।এব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষা অফিসার এড়িয়ে যান।
এসব গাফিলতির কারনে একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর ফলাফল না হলে ১ টি বছর নয় একটি জীবন ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খাতা হারানোর ব্যাপারে ইউএনও মহোদয় ও শিক্ষা অফিসারকে জানানো অথবা থানায় জিডি করা হয়নি কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান, পরীক্ষার খাতা হারিয়ে যাবার কথা সেদিন জানায়নি তবে পরীক্ষার খাতা সংগ্রহ না করাটা দুঃখজনক।পরীক্ষার বিষয়টি খুব সেন্সেটিভ। ছেলে মেয়ের পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবকরা খুবই উদ্বিগ্ন থাকেন। শেষ দিনে খাতা পাওয়ার বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন। তবে এ নিয়ে কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বগুড়ায় ট্রেন চালকের দক্ষতায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে দোলন চাঁপা আন্তঃনগর ট্রেন। ওই ঘটনায় দু’জন আহত হলেও কয়েক’শ মানুষ প্রাণে বেঁচে গেছেন। রেল লাইনের উপর অবৈধ দোকানগুলো ওই দুর্ঘটনার কারণ বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় লোকজন।
বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে মাত্র ত্রিশ গজ দূরেই এক যুগেরও বেশি সময় ধরে (বগুড়া রেলস্টেশন থেকে একনম্বর ঘুমটি পর্যন্ত ) প্রায় তিন শতাধিক অবৈধ কাপড়ের দোকান রেল লাইনের উপর রয়েছে। বগুড়ার পুরাতন কাপড়ের বড় মার্কেট এটি। পরিচিত ‘হঠাৎ মার্কেট’ হিসেবে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক হাজার ক্রেতার সমাগম ঘটে। বছরে একবার করে রেল থেকে ওইসব দোকান উচ্ছেদ করলেও দুই তিনদিন পরে আবারও দোকান আগের মতো বসে। মূল রেল লাইনের উপর তাঁবু টানিয়ে এসব দোকান বসানো হয়েছে। ট্রেন চলে আসলেই দ্রুত তাবুগুলো সরে ফেলা হয়। কয়েক বছরে প্রায় ৭-৮ জন ক্রেতা এবং বিক্রেতার প্রাণহানি ঘটেছে এই হঠাৎ মার্কেটে।
বগুড়ার রেলস্টেশনের স্টেশন মাষ্টার আবুল কাশেম জানান, দুপুর ১১টায় দোলন চাঁটা আন্তঃনগর ট্রেন বোনারপাড়া থেকে বগুড়ায় আসছিল। অপরদিকে আরেকটি আন্তঃনগর ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেক্স ঢাকা থেকে বগুড়া স্টেশনে আসতে থাকে। সিগন্যাল এবং পয়েন্ট ঠিক করে দোলনচাঁপা ট্রেনটির জন্য দুইনম্বর লুপ লাইনে এবং লালমনি এক্সপ্রেক্সকে একনম্বর লাইনে আসার নির্দেশনা ঠিক করা হয়। দোলনচাঁপা ট্রেনটি হুইসেল দিতে দিতে দুই নম্বর লুপ লাইন দিয়ে স্টেশনে আসতে থাকে।
‘হঠাৎ মার্কেট’র দোকানদারদের জানা ছিল ওই ট্রেনটি একনম্বর লাইন দিয়ে আসবে। তাই তারা দোকানের তাবু সরাইনি। কিন্তু যখন ট্রেনটি দুইনম্বর লুপ লাইন দিয়ে হুইসেল দিতে দিতে আসতে থাকে তখন দোকানদার এবং ক্রেতারা চিৎকার করে এদিক ওদিক দৌড়ে পালাতে থাকে। ট্রেন চালক দ্রুততার সাথে ট্রেনটি ব্রেক করায় দোকানের মালামাল নষ্ট হলেও কোন প্রাণ হানি ঘটেনি। নইলে অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারতো।
তিনি আরও জানান, গত ১৯ নভেম্বর লালমনিহাট থেকে বিভাগীয় ভূ-সম্পদ কর্মকর্তাসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা স্টেশনের পাশের একটি মার্কেটের প্রায় দুইশতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়ার সময় ‘হঠাৎ মার্কেট’দুইদিন বন্ধ ছিল। পরে ২২ নভেম্বর আবারও ‘হঠাৎ মার্কেট’র দোকানদাররা তাদের দোকান বসায়। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে রেল স্টেশন সীমানার মধ্যে এবং লাইনের উপর অবৈধ দোকান উচ্ছেদের জন্য ২৩ নভেম্বর চিঠি দেয়া হয়।
স্টেশন মাষ্টার আরও জানান, রেল লাইন থেকে দুই পাশের ১০ ফুট করে জায়গা ১৪৪ ধারা সবসময়ের জন্য জারী থাকরেও এসব কেউ মানছেনা। স্টেশন মাষ্টার অভিযোগ করে বলেন, সিগন্যাল এবং পয়েন্টের তারের উপর অবৈধ দোকান বসার কারনে অনেক সময় সঠিকভাবে সিগন্যাল ও পয়েন্ট করা সম্ভব হয়না। অথচ, ট্রেনের আসা যাওয়ার মূল বিষয়টি হলো সিগন্যাল এবং পয়েন্ট।
তবে রায়হান কবীর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়, লাইনের নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনার থাকলেও কেন ওইসব দোকান দেখেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তিনি জানান, বিষয়গুলো উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ জানেন।
বগুড়া জিআরপি ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর কায়কোবাদ জানান, ঘটনাটি জানার পরে সেখানে আমরা দ্রুত যাই। কিন্তু কোনো আহত কিংবা নিহত ব্যক্তির খোঁজ পাইনি। তবে আশেপাশের লোকজন জানিয়েছেন, চার-পাঁচজন ক্রেতা আহত হয়েছেন।
বগুড়া ফায়ার স্টেশনের সিনিয়ন স্টেশন মাষ্টার বজলুর রশিদ জানান, দুইজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন, গাবতলী উপজেলার রুমি খাতুন (৩০) এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলার মানিক (৫৫)। তাদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে আরও কয়েকজনের কথা শুনলেও তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
রেল লাইনের পাশের স্থানীয় ব্যবসায়ী নাম না প্রকাশে ইচ্ছুক কয়েকজন জানান, গত ৫/৬ বছরে প্রায় ৭-৮জন ট্রেনে কেটে হঠাৎ মার্কেটে মারা গেছে। এদের মধ্যে ক্রেতা এবং দোকানদারও ছিল। বুধবার যদি ট্রেনের চালক দ্রুত ব্রেক না করতো তাহলে কয়েক’শ লোকের প্রাণহানি ঘটতো।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের উপনেতা জি এম কাদের সম্পর্কে দেয়া ‘মানহানিকর বক্তব্য’ প্রত্যাহারে জন্য পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশাকে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। বিদিশা ১৫ দিনের মধ্যে ‘বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে’ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিসে বলা হয়েছে।
জাপার সহযোগী সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আবু ওয়াহাবের পক্ষে আইনজীবী এম এম সালাহ্উদ্দিন আহম্মেদ মঙ্গলবার এ আইনি নোটিস পাঠান।
জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশার বলেছেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শাহতা জারাব এরিককে দেখভালের ক্ষেত্রে তার চাচা ও দলের বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদের মূল বাধা।
চলতি বছরের জুলাইতে মৃত্যুর আগে এরশাদ তার সব সম্পত্তি দান করে যান ট্রাস্টে। ছেলে এরিকের দেখভাল করার জন্য এ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। ট্রাস্টের সদস্য হিসেবে এরিক আর ভাতিজা খালেদ আখতারকে রাখলেও ভাই কাদেরকে রাখেননি এরশাদ।
গত ১৪ নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট পার্কে ছেলে এরিকের সঙ্গে অবস্থান নেয়া বিদিশা অভিযোগ করেছেন, এই বাসায় এরিকের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা তার ছেলের স্বাস্থ্যের প্রতি ‘অবহেলা’ করেছেন। এরশাদের ব্যক্তিগত গাড়িচালক এরিককে ‘মারধর’ করেছেন। নিরাপত্তাহীনতায়’ ভুগতে থাকা এরিক মা বিদিশাকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট পার্কে থাকতে চান জানিয়ে গত ১৮ নভেম্বর গুলশান থানায় জিডি করেন। বিদিশার ওই অভিযোগের পর তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন জি এম কাদের। কিন্তু পরে আর তিনি ওই মামলা করেননি।
কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি- মাদারীপুরের কালকিনিতে একটি গরুবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছে কমপক্ষে দুইজন।
আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার গোপালপুর এলাকার নীলখোলা স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাগেছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা একটি মিনি ট্রাক ৫/৬টি গুরু নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে উপজেলা গোপালপুর এলাকার নীলখোলা পৌছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খালের পানিতে পড়ে যায়। এসময় ওই ট্রাকে থাকা দুই গরু ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় আহত অবস্থায় গরু গুলো উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে উপজেলার ডাসার থানা পুলিশ মোতায়ন করা হয়। তবে ঘটনার পর থেকেই চালক পলাতক রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলার ডাসার থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাত জন আসামীকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়ার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের একজন রাকিবুল হাসান রিগ্যানকে দেখা যায় মাথায় একটি কালো টুপি।
কালো ওই টুপিটির উপর ছিল অবিকল আইএস-এর কালো পতাকাটির উপর সাদা রঙে আঁকা প্রতীকটি।
এ সময় ওই এলাকায় ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শত শত সদস্য। রিগ্যানকেও ধরে ছিল পুলিশের কয়েকজন। কিন্তু কেউই রিগ্যানকে এই টুপিটি পরতে বাধা দেয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন।
এমনকি টুপিটি খুলে নেয়ার চেষ্টা করতেও দেখা যায়নি কাউকে।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী রিগ্যান যখন সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছিলেন, তখন তাকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আইএস-এর লোক’।
আদালত কক্ষ থেকে প্রিজন ভ্যানে এনে তোলা পর্যন্ত আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আইএস-এর এই প্রতীক প্রদর্শন করেন রিগ্যান।
রাকিব হাসনাত জানাচ্ছেন, আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকেরা বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু’র নজরে আনেন। তখন তিনি পরামর্শ দেন, রিগ্যান কীভাবে এই টুপিটি পেল সেই প্রশ্ন সে যাদের হেফাজতে আছে তাদেরকে করতে।
অবশ্য পরে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, রিগ্যানের এই আইএস-এর প্রতীক প্রদর্শন করা এবং টুপিটি সে কীভাবে সংগ্রহ করলো তা নিয়ে তদন্ত করবেন তারা।
‘জাতীয় পার্টি কারো একার সম্পদ নয়। মনে করতে হবে জাতীয় পার্টি আমাদের। যে কারণে কোথাও কোন সমস্যা হলে নিজের মনে করে কাজ করতে হবে। এটি করতে পারলে ডেডিকেটেড কর্মী পাবো। নেতৃত্বের কোন গলদ থাকলে ভেতরে বসে সমস্যা সমাধান করবো। ভুল ত্রুটি মানুষের হয়। কোন ত্রুটি থাকলে ধরিয়ে দিবেন, আমরা সংশোধনের চেষ্টা করবো।’- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে এক যোগদান অনুষ্ঠানে বিদিশার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি এমন মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন ব্যারিস্টার ও অ্যাডভোকেট জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন।
এ সময় জিএম কাদের বলেন, আমি কাঁদা ছুড়ছি না, রাজনীতি করি কেউ আমার জন্য জীবন দিবে, আবার কেউ কাছে থেকে বিরোধীতা করবে। আমি যতো প্রভাবশালী হব তখন শত্রুতা, তিক্ততা বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, বিরোধীতা প্রমাণ করে আমি সঠিক পথে রয়েছি। সময় হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিএম কাদের বলেন, রাজনীতিতে শুন্যতা বিরাজ করছে। লোকজন মনে করছে জাতীয় পার্টি তাদের চাওয়া পূর্ণ করতে পারবে। জনগণের আস্থার একটি দলে পরিণত করতে যে যে ধরনের কর্মসূচি প্রয়োজন করা হচ্ছে। মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ নয়, সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন করতে চাই। এটি শুধু আমাদের একার পক্ষে সম্ভব না, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আপনাদের কাজ করতে হবে।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক প্রমুখ।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এসএসসি পরিক্ষার্থী এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধ’র্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তৎপর প্রভাবশালী মহল। গত বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজে’লার হাটুভাঙ্গা এলাকায় এই ধ’র্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পার হয়েছে পাঁচ দিন। তবে ভু’ক্তভোগীর পরিবার থানায় এ নিয়ে কোন অভিযোগ না দিলেও ঘটনার সংবাদ পেয়ে বি’ষয়টি দেওহাটা ফাঁড়ি ই’নচার্জ রফিকুল ইসলামকে ত’দন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মির্জাপুর থানার ওসি সায়েদুর রহমান।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, গত বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে উপজে’লার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল, চিতেশ্বরী ও হাটুভাঙ্গা বাজার এলাকার সোহান সিকদার, রাকিব সিকদার ও জসিম নামের তিন বখাটে ওই শিক্ষার্থীকে কৌশলে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নে’শা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে সংঘবদ্ধ ধ’র্ষণ করে।
এতে মেয়েটি র’ক্তাক্ত আ’হত হয়ে অ’চেতন হয়ে পড়লে তাকে রেখে পালিয়ে যায় ধ’র্ষকরা। পরে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা তাকে উ’দ্ধার করে মির্জাপুরে চিকিৎসা দিতে না পেরে পার্শ্ববর্তী গাজীপুর জে’লার কালিয়াকৈর উপজে’লায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। মেয়েটি বর্তমানে কালিয়াকৈর তার মামার বাড়িতেই অবস্থান করছে বলে পরিবার সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মেয়েটির বাবা মুঠোফোনে ঘটনার বর্ণনা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের বাড়িতে গেলে অদৃশ্য কারণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেননি তিনি। তবে মেয়েটির মা জানায়, প্রয়োজন হলে আপনাদের সাথে যোগাযোগ করা হবে। সেখানে মেয়েটির পরিবারের অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, ধ’র্ষকদের পরিবার অনেক ক্ষমতাবান। হাটুভাঙ্গা বাজারের অধিকাংশ দোকানের জায়গার মালিক তারা।
যদি এনিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয় তবে পথে বসতে হবে তাদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধ’র্ষিতার চাচা জানায়, ঘটনাটি নিয়ে তার ভাই খুবই আতংকের মধ্যে রয়েছে। ধ’র্ষকের পরিবার অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশের কাছেও যেতে ভয় পাচ্ছেন। চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বি’ষয়টি আপোষ-মিমাংসা করার জন্য।
এ ব্যাপারে সহকারি পুলিশ সুপার ( মির্জাপুর সার্কেল) দীপঙ্কর ঘোষ জানান, এ ধরনের ঘটনায় ভু’ক্তভোগীর পরিবার যদি কোন অভিযোগ না দেয় তবে পুলিশের পক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা কঠিন। সত্যিই এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে বি’ষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে ভু’ক্তভোগীর পরিবারকে আইনগত পদক্ষেপে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী রোববার (১ ডিসেম্বর) দলীয় কার্যলয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে বলে জানিয়েছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক কথা বলেন রিজভী। ‘মানুষ বিমানে চড়তে পারে না, আমরা বিমানে পেঁয়াজ নিয়ে এসেছি’ বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, অবৈধ সরকারের মন্ত্রীদের মুখে এ ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যই শোভা পায়।রিজভী বলেন, মন্ত্রীদের নেতৃত্বেই ব্যবসায়ীরা বাজার সিন্ডিকেট করে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করছে। আর এ কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
প্রধান উপদেষ্টাঃ রিন্টু চৌধুরী
সম্পাদক- মোঃ আজিজুল ইসলাম আজিজ 01719-076924,
নির্বাহি সম্পাদক -মোঃ রফিকুল ইসলাম 01717-656705fÐd¡e L¡k¡Ñmu
¢jlf¤l-13,Y¡L¡
ফোনঃ 01827-656705 ইমেইলঃ anusondan2@gmail.com