রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা বহুল আলোচিত মামলার রায় আজ। দুপুর ১২ টায় এ রায় ঘোষণা করা হবে। গত ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। এরপর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান রায় ঘোষণার এদিন ধার্য করেন।
এ হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করা হলেও রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন ৮ জন। কারণ বাকিরা বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছেন। হলি আর্টিজানে হামলা চালানো পাঁচ তরুণ সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযান ‘থান্ডারবোল্টে’ সেদিনই নিহত হয়েছিলেন।
হামলায় জড়িতদের মধ্যে নিহত ১৩ জনের পাঁচজন নিহত হয় হলি আর্টিজান হামলায় অভিযানের সময়ই। এরা হচ্ছে- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
বাকী ৮ আসামির বিরুদ্ধে আজ রায় দেয়া হবে। এরা কেউ-ই হলি আর্টিজান বেকারিতে সরাসরি হামলায় ছিলেন না। ওই হামলার পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ এবং অর্থ জোগানে ভূমিকা রেখেছিলেন তারা।
তারা হচ্ছে- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। আট আসামি হলেন-
জাহাঙ্গীর আলম
জাহাঙ্গীরের বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম রাঘবপুরে। তাকে গ্রেফতার করা হয় ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি।
গুলশান হামলা ঘটাতে জাহাঙ্গীরের ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ ছিল বলে মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়। হামলার পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সংগ্রহ, হত্যাকাণ্ডে সক্রিয় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে।
আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে জাহাঙ্গীর জঙ্গি সংগঠনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তবে গুলশান হামলায় যুক্ত ছিল না বলে দাবি করেছে।
রাকিবুল হাসান রিগ্যান
জঙ্গিসংগঠনগুলোতে রাফিউল ইসলাম রাফি, রিপন, হাসান, অন্তর নামেও তিনি পরিচিত। তার বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিমপাড়ায়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, রিগেন নব্য জেএমবির প্রশিক্ষক ছিলেন, অর্থ লেনদেনের দায়িত্বও ছিল তার। নিষিদ্ধ সংগঠনের পদ গ্রহণ করে অর্থ গ্রহণ, হামলায় জড়িতদের প্রশিক্ষণ দিয়ে হত্যাকাণ্ড সংঘটনে সহায়তা ও প্ররোচিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মিজানুর রহমান
মিজানুর রহমান বড় মিজান নামে পরিচিত তিনি। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের হাজারবিঘি চাঁনপুরে। ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর ঢাকার দারুস সালাম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গুলশান হামলায় ব্যবহৃত বিস্ফোরক সরবরাহে সহায়তা করে হত্যাকাণ্ড সংঘটনে ভূমিকা রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে মিজানের বিরুদ্ধে।
তবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেয়া জবানবন্দিতে মিজান আদালতে বলেছিলেন, তিনি একজন মাছ ব্যবসায়ী, শুধু নামের মিলের কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে।
আব্দুস সবুর খান হাসান
সবুর খান বেশ কয়েকটি নামে পরিচিত। সেগুলো হচ্ছে সোহেল মাহফুজ, মুসাফির, জয়, নসুরুল্লাহ। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সাদিপুর কাবলিপাড়ায়। ২০১৭ সালের ৮ জুলাই গ্রেফতার হয় সবুর। গুলশান হামলায় লোক, অস্ত্র, গ্রেনেড সরবরাহ করে হত্যাকাণ্ড সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে সবুর ওরফে সোহেল মাহফুজের বিরুদ্ধে।
হাদিসুর রহমান
হাদিসের বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার কাদোয়া কয়রাপাড়া। ২০১৮ সালের ২১ মার্চ বগুড়ার শিবগঞ্জে গ্রেফতার করা হয়। গুলশান হামলাকারীদের ঝিনাইদহে মেস ভাড়া করে আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দেয়া, অর্থ লেনদেন, অস্ত্র-গ্রেনেড সরবরাহ করে হত্যাকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে হাদিসুরের বিরুদ্ধে।
শরিফুল ইসলাম খালেদ
শরিফুলের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারার শ্রীপুরের খামারপাড়ায়। ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রেফতার হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, হলি আর্টিজান বেকারিতেহামলার পরিকল্পনাকারীদের একজন শরিফুল। আত্মঘাতী হামলার জন্য জন্য তরুণদের তৈরির কথা তিনিই বলেছিলেন। গাইবান্ধায় যমুনার চরে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির চালাতেও তার ভূমিকা ছিল।
আসলাম হোসেন সরদার
আসলামের রাজশাহীর পবার নওহাটা মথুরায়। ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই গ্রেফতার করা হয় তাকে। হামলাকারীদের প্রশিক্ষকের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেয়া, ঘটনাস্থল রেকি, হামলার পরিকল্পনায় অংশ নিয়ে হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে আসলামের বিরুদ্ধে।
মামুনুর রশিদ রিপন
রিপন নামে তিনি পরিচিত ছিলেন সংগঠনে। বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রামের শেখের মাড়িয়ায়। গাজীপুরের বোর্ডবাজার থেকে ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন। গুলশান হামলায় পরিল্পনার বৈঠকে অংশ নেওয়া এবং অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ করা হয়েছে রিপনের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজানের ওই হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২৩ জন নিহত হয়েছিলেন। ওই হামলার পর ৪ জুলাই রাতে গুলশান থানার এসআই রিপন কুমার দাস অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা করেন।
চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার মামলা করে উল্টো গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে এক গৃহবধূকে। ফেনীর সোনাগাজী থানায় ২২ নভেম্বর মামলাটি করেছিলেন এক প্রবাসীর স্ত্রী রুনা আক্তার। আদালতের শুনানির আগেই তিনি স্বীকার করেন মামলাটি মিথ্যা। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তাকে গ্রেফতারপূর্বক জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
ফেনী জেলা জজ আদালতের পিপি হাফেজ আহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানান, সোনাগাজীর মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ছড়াইতকান্দি গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী রুনা আক্তার। গত ২২ নভেম্বর সোনাগাজী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এতে তার চাচা শ্বশুর শফিউল্যাহকে একমাত্র আসামি করা হয়। মামলায় বলা হয়, শফি তাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতেন এবং এক পর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এতে তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। মামলা গ্রহণের পর পুলিশ শফিকে গ্রেপ্তার করে।
পিপি জানান, মঙ্গলবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। আসামি শফিউল্যাহর পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী। মামলার বাদি রুনা আক্তার আদালতে বলেন, ‘আমি মামলা করতে চাইনি। আমার শাশুড়ি মিথ্যা মামলা করতে বাধ্য করেছেন।’ রুনা আক্তারের বক্তব্য শোনার পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ রুনা আক্তারকে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত চাচা শ্বশুর শফির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। জামিন পাওয়ার পর শফিউল্যাহ শফি বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত হুমকি উপেক্ষা করেই তুরস্ক সোমবার তার রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির পরীক্ষা শুরু করেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বারবার এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ত্যাগ করার জন্য তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি অবরোধেরও হুমকি দিয়ে আসছে।
সোমবার তুর্কি অপারেটরদের প্রশিক্ষণ এবং নতুন আমদানিকৃত রুশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষার জন্য আংকারার মার্টেড সামরিক ঘাঁটির চারপাশে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানসহ অন্যান্য বিমান মহড়া দেয়। গত জুলাইয়ে তুরস্কের এস-৪০০ অর্জন ন্যাটো জোটের অন্য দেশগুলোর জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনা ন্যাটো চুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ ছাড়া এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।
রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংগ্রহ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তুরস্কের কাছে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে এস-৪০০ কেনায় এখন পর্যন্ত তুরস্কের ওপর কোনো অবরোধ আরোপ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, সিস্টেমটি সক্রিয় না করলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি এড়ানো যেতে পারে। ডন।
ঢাকা- বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সুপ্রিমকোর্টের সামনে বিক্ষোভের সময় গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দলটির অজ্ঞাত ৫০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনগত রাতে শাহবাগ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে, মামলার নম্বর ৩২।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, মঙ্গলবার পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ৫শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হাইকোর্টের সামনের সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের ব্যানারে মিছিল নিয়ে হাইকোর্টের মূল ফটকের সামনের সড়কে অবস্থান নিলে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে হাইকোর্টের সামনের সড়কে এসে অবস্থান নেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও শওকত মাহমুদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আবু জাফর, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ।
পরে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে নেতাকর্মীরা। তখন পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পুলিশের ধাওয়া খেয়ে প্রেসক্লাবের দিকে সরে যাওয়ার সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেয়ার পর এবার তাহিরপুর থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধরের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে ওসি নন্দন কান্তি ধরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ দেন তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বন্দন এলাকার বাসিন্দা সেলিম ইকবাল।
দুদকে দেয়া অভিযোগে বলা হয়, ওসি নন্দন কান্তি ধর ২০১৭ সালে তাহিরপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন ধরনের চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি ও রাষ্টীয় সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন। একই সঙ্গে যাদুকাটা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ টাকার মালিক হয়েছেন ওসি নন্দন কান্তি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ওসি নন্দন কান্তি ধর ২০০ ড্রেজারের মালিক। প্রতিদিন ড্রেজার প্রতি ১৫ হাজার টাকা করে প্রায় ৩০ লাখ টাকা আয় করেছেন। গত তিন বছর তাহিরপুর থানার ওসি থাকা অবস্থায় করেছেন এসব টাকা অবৈধপথে অর্জন করেছেন তিনি।’
সেলিম ইকবাল দুদকে দেয়া অভিযোগ আরও উল্লেখ করেছেন, ওসি নন্দন কান্তি ধর তাহিরপুরে নদী খনন থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন। জায়গা ভরাট করে দেয়ার নামে তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা মতুর্জা আলীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিলেও জায়গা ভরাট করে দেননি ওসি নন্দন।
সেলিম ইকবাল অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, ওসি নন্দন কান্তি ধরের দুর্নীতির পরিমাণ এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে অবৈধ টাকা দিয়ে ভারত, সিলেটে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। দুর্নীতির অধিকাংশ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। ওসি নন্দন কান্তি ধরের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালে তাহিরপুর উপজেলা থেকে বদলি হওয়ার পর বর্তমানে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত আছেন নন্দন কান্তি ধর।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাহিরপুর থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধর বলেন, আমার কোনো ড্রেজার মেশিন ছিল না, এখনো নেই। আমি আলী মর্তুজার কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। আমার বিরুদ্ধে দুদকে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। দুদক অভিযোগ তদন্ত করলে সত্যতা বেরিয়ে আসবে।
এর আগে ১০ বছরে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম-দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও লুটপাটের মাধ্যমে নামে-বেনামে এসব সম্পদ বানিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে গত বুধবার (২০ নভেম্বর) এমপি মেয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান সোহেল।
রাজশাহী, ২৭ নভেম্বর- রাজশাহী মহানগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ের নাম নিতেই রাজশাহী শহরের মানুষের চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটি যুদ্ধবিমান।
সেখানে ২৫ বছর ধরেই প্রতিস্থাপন করা ছিল এফ-৬ মডেলের এই বিমানটি। তবে এখন থেকে আর সেখানে বিমানটি দেখা যাবে না।
এখন এই স্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ম্যুরাল নির্মাণ করা হবে।
যুদ্ধবিমানটি সর্বশেষ আকাশে উড়েছিল ১৯৯১ সালে। ১৯৯৪ সালে রাজশাহী মহানগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে কংক্রিটের তৈরি একটি স্ট্যান্ডের ওপর বিমানটি স্থাপন করে সিটি কর্পোরেশন।
২৫ বছর পর মঙ্গলবার দুপুরে বিমানটি সেই স্ট্যান্ড থেকে নামানো হয়েছে।
এখন বিমানটি নগরীর আলিফ-লাম-মীম ভাটা এলাকায় নবনির্মিত একটি সড়কের প্রবেশমুখে স্থাপন করা হবে। নতুন সড়কটি বিমানবন্দর রোডে এসে মিলিত হয়েছে। দুই রাস্তার সংযোগস্থলে থেকে বিমানটি বোঝাবে- এই দিকেই বিমানবন্দর।
দুপুরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি দলকে ক্রেনে করে বিমানটি স্ট্যান্ডের ওপর থেকে নামাতে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার কাজী শাহজাহান।
তিনি জানালেন, দেশের আকাশসীমা সুরক্ষিত রাখতে ১৯৭৫ সালে এফ-৬ মডেলের যুদ্ধবিমানটি কেনা হয়েছিল। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত এটি বিমানবাহিনীতে সার্ভিস দিয়েছে। শহরের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সিটি কর্পোরেশন একটি অব্যবহৃত বিমান সিঅ্যান্ডবি মোড়ে স্থাপনের আবেদন করলে এটি স্থাপন করা হয়েছিল। এখন আবার এটি স্থানান্তরের জন্য আবেদন করা হলে তারা কাজ শুরু করেছেন।
কাজী শাহজাহান জানান, তারা এসেছেন যশোর থেকে। বিমানটি অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। এই মডেলের বিমানের ইঞ্জিন থাকে ভেতরে। তবে এই বিমানটিতে ইঞ্জিন নেই। তবে দুই পাখার সঙ্গে এখনও আছে ড্রপ ট্যাংক। আছে পাইলটের বসার স্থানও। পাখা এবং ড্রপ ট্যাংকগুলো খুলে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর আবার পাখা ও ড্রপ ট্যাংক লাগিয়ে প্রতিস্থাপন করা হবে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানিয়েছেন, সিঅ্যান্ডবি মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি নির্মাণ করা হবে ৫০ ফুট উচ্চতার। বিমানটি অপসারণের মধ্য দিয়েই কাজ শুরু হল। আগামী এক মাসের মধ্যে স্ট্যান্ড নির্মাণ করে বিমানটি নতুন স্থানে প্রতিস্থাপন করা হবে।
এদিকে বিমানটি যে স্থানে ছিল সেটি জেলা পরিষদের জায়গা। বিমানটির জন্য ফাঁকা ছিল ৩১ দশমিক ৬৫ শতক জমি। এখন ম্যুরাল নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন সংলগ্ন আরও ৯ দশমিক ৫৯ শতকসহ মোট ৪১ দশমিক ২৪ শতক জমি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে গত ২০ নভেম্বর জেলা পরিষদে চিঠি দিয়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।
তবে মঙ্গলবার জেলা পরিষদ একটি চিঠি দিয়ে সিটি কর্পোরেশনকে বলেছে, ১৯ দশমিক ৬৩ শতক জমিতে ম্যুরালটি নির্মাণ করা যেতে পারে। এই চিঠিতে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের প্রাচীর না ভেঙ্গে এবং গ্যারেজ ও গাছপালা অক্ষত রেখে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসাপেক্ষে ম্যুরাল নির্মাণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।
সূত্র: যুগান্তর
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পুলিশের সোর্সকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। সোমবার মধ্যরাতে সিপাহীবাগ আইসক্রিমের গলিতে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
খিলগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, আজিজ, মিল্টন, মিন্টু, সোহেল নামে পূর্বপরিচিত কয়েকজন রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুরাদকে ডেকে সিপাহীবাগ আইসক্রিমের গলিতে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা মুরাদকে বেধড়ক পেটায়।
পরে তাকে ছেড়ে দেয় মাদক ব্যবসায়ীরা। ছাড়া পাওয়ার পর বাসায় চলে যান মুরাদ। অবস্থার অবনতি হলে ভোর ৫টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুরাদকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিন্টু, সোহেল ও মিলনকে গ্রেফতার করে। তাদের প্রত্যের বিরুদ্ধে মাদক চোরাকারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
ওসি মশিউর বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
খুলনা মহানগরের ফেরিঘাট মোড়ের একটি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩৫টি দোকান পুড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৬টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মূলত শীতের পোশাকের একটি দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। শীতের পোশাকের দোকানে আগুনের ধোঁয়া দেখা যায়। মুহূর্তেই তা পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ইকবাল বাহার বুলবুল জানান, ভোরে
ফেরিঘাট মোড়ের পুরোনো কাপড়ের দোকানে তারা আগুন লাগার খবর জানতে পারেন।
পরে খবর পেয়ে বয়রা ও টুটপাড়া স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারা আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে ৩৫টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এ
মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন ও বকেয়া পরিশোধসহ ১১ দফা দাবিতে ভুখা মিছিল করেছেন নরসিংদীর ইউএমসি জুট মিলের শ্রমিকরা। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ইউএমসি জুটমিলের প্রধান ফটক থেকে মিছিলটি বের করা হয়। পরে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় মিল গেটে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের ডাকে সারাদেশে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
এ সময় ‘মা হাসিনা ভাত দে, কাপড় দে নইলে একটু বি’ষ দে’, ‘পাটমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে’ ইত্যাদি ব্যানার এবং থালা, বাটি, ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজারো পাটকল শ্রমিক মিছিলে অংশ নেন। তারা বকেয়া মজুরি, পিএফ’র টাকা প্রদান ও বদলি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ, মজুরি কমিশনসহ তাদের ১১ দফা ন্যায্য দাবি না মানায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে পাট মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। অচিরেই দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিক নেতারা।
মিছিলে ইউএমসি জুট মিলের সিবিএ সভাপতি শফিকুল ইসলাম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, নন সিবিএ পরিষদের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টাঃ রিন্টু চৌধুরী
সম্পাদক- মোঃ আজিজুল ইসলাম আজিজ 01719-076924,
নির্বাহি সম্পাদক -মোঃ রফিকুল ইসলাম 01717-656705fÐd¡e L¡k¡Ñmu
¢jlf¤l-13,Y¡L¡
ফোনঃ 01827-656705 ইমেইলঃ anusondan2@gmail.com