অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারকে নগদ অর্থ, খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ

কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ॥
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪
  • ২৯ বার পঠিত

কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় সম্প্রতি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০ কৃষক পরিবারের মাঝে ২০ কেজি চাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি ছোলা, মসুরের ডাল এক কেজি, লবণ আধা কেজি, আলু দুই কেজি, সেমাই এক কেজি, চিনি আধা কেজি, খেজুর আধা কেজি ও নগদ দুই হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার মাধবপুর দাখিল মাদ্রাসার মাঠ প্রাঙ্গনে এসব বিতরণ করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ। আরও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর ও ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন, জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল আলম চুনু, ভেড়ামারা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম জাকারিয়া টিপু। এছাড়াও ভেড়ামারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু, জেলা আওয়ামী লীগ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন রাজু, মিরপুর ও ভেড়ামারা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত রবিবার ১০ মার্চ বেলা ১১টার সময় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রাইটা পাথরঘাটা এলাকার একটি পানের বরজ থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে একের পর এক বরজ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সেসময় ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ বলেছে, এই আগুনে প্রায় সাড়ে তিনবর্গ কিলোমিটার এলাকার প্রায় চার হাজার একর পানের বরজ, কলার বাগান, পাকা গমসহ আবাদি ফসল এবং প্রায় ১০টি বাড়ি পুড়ে গেছে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক কৃষকের প্রায় তিন হাজার বিঘা জমির পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রতি বিঘায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় দুই থেকে তিন লাখ টাকা। এতে শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিরা। ওই দিন আগুন নেভাতে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর এবং পাবনা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট এসে কাজ শুরু করেন। সাথে যোগ দেন স্থানীয় কয়েকশ নারী পুরুষ। ১১টা থেকে লাগা আগুন প্রায় ৬ ঘন্টার পর নিয়ন্ত্রনে আসে। কিন্তু ততক্ষনে কয়েক হাজার কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর