বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বড় মিয়া মসজিদ এলাকায় মাননীয় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা মামলা নং ৫২৫/২০২২ এর আদেশ মোতাবেক বিতর্কিত চলাচলের পথের উপর ১৪৭ ধারা বলবৎ থাকা অবস্থায় ভাড়া করা সন্ত্রাসী নিয়ে জোরপূর্বক ঈদের বন্ধে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধ সেফটি ট্যাঙ্কি নির্মাণ ও ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেন ভূমিদস্যু ফরিদুল আলম চৌধূরী প্রকাশ কানা ফরিদ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশী ও স্থানীয় সাধারণ মানুষ সরেজমিনে তদন্তকারী সাংবাদিকদের জানান উভয়পক্ষকে সদর এসিল্যান্ড ও বাকলিয়া থানা হতে আলাদা আলাদা ভাবে নোটিশের মাধ্যমে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল বির্তকিত চলাচলের পথের উপর যেন শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কোনো কাজ না করার জন্য। নোটিশে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয় আইনগত নোটিশ প্রাপ্তির পরবর্তী সময় হতে আদালত অবমাননা না করে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য। ইতিপূর্বে বিষয়টি নিয়ে সেফটি ট্যাংকি নির্মাণের উদ্দেশ্যে গর্ত খনন করে বেশ কয়েকবার জোরপূর্বক ভাবে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে চাইলে মামলার বাদী আবছারুল আলম চৌধুরীর জোরালো প্রতিবাদ এ তা পন্ড হয়ে যায়। ফরিদুল আলম চৌধূরী প্রকাশ কানাফরিদ এর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আদালত অবমাননা করে জোরপূর্বক চলাচলের পথ এর উপর সেফটি ট্যাঙ্কি নির্মাণ কাজ চালিয়ে নেয়ার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বিগত ১৩/ ৪/২০২২ ইং তারিখে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মামলার বাদী আবছারুল আলম চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলন পরবর্তী আবছারুল আলম চৌধুরী উপস্থিত সাংবাদিকদের সরেজমিন তদন্তের জন্য অনুরোধ জানান। সংবাদ সম্মেলনে পরবর্তীতে কিছুদিনের জন্য ভূমিদস্যু কানা ফরিদ রাস্তার অবৈধ দখল হতে দূরে সরে আসেন এবং তার অবৈধ চলার পথে সেফটি ট্যাংকি নির্মাণ কাজের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকেন। গত ১/৫/২০২২ ইংরেজি তারিখে পুনরায় লোকজন নিয়ে বিতর্কিত চলাচলের পথে সেফটি ট্যাঙ্কি নির্মাণ কাজে পুনরায় হাত দিলে মামলার বাদী আবছারুল আলম চৌধুরী এই প্রতিবেদককে জানান তিনি সাথে সাথে ৯৯৯ এ ফোন করেন এবং ৯৯৯ থেকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাকুলিয়া থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। তিনি আরো জানান তিনি বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নিদর্শন বড়ুয়াকে তার সম্পত্তি জোর পূর্বক সন্ত্রাসী টাইপের লোকজন নিয়ে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জবর দখলের মাধ্যমে সেফটি ট্যাংকের ঢালাইয়ের কাজ করছেন বলে অভিযোগ করে সাহায্যে চেয়ে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি অপর দিক হতে জানান সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তার করণীয় কিছুই নেই। পরবর্তীতে তিনি সাংবাদিকদের কাছে সাহায্য চান এবং বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তের জন্য অনুরোধ করেন। সরেজমিন তদন্তে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, চলাচলের রাস্তার উপর রাতে একাধিক মানুষের উপস্থিতিতে। সেখানে সেফটি টাংকি নির্মাণ রত অবস্থায় শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা যায় এবং তারা ঢালাইয়ের কাজে অংশ নেয়ার ব্যাপারটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকরা নিশ্চিত হন। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে উচ্চবাচ্য বিনিময় হলেও লোক সংখ্যার দিক থেকে মামলার বাদী আবছারুল আলম চৌধূরী দুর্বল এবং বারবার প্রশাসনের সাহায্য চেয়ে ব্যর্থ হওয়াতে অবশেষে টাংকি নির্মাণের কাজ ঈদের ২ দিন আগে সমাপ্ত করে নিতে সক্ষম হন অদৃশ্য খুঁটির জোরে ১৪৭ ধারা অবমাননাকারী মামলার বিবাদী ফরিদুল আলম চৌধূরী। কোথাও সাহায্য না পেয়ে মামলার বাদী আবছারুল আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং বলেন এখনো এসিল্যান্ড তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল হয়নি। আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ার পূর্বে কোন ক্ষমতা বলে ফরিদুল আলম চৌধূরী এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে আমার চলাচলের পথ এর উপর কাদের শক্তির উপর নির্ভর করে রেজিস্টার্ড অংশনামার শর্তাবলী ভঙ্গ করে এবং আদালতের ১৪৭ ধারার নির্দেশ অমান্য করে অবৈধভাবে সেফটি ট্যাংকি নির্মাণ করে নাগরিক জীবনে আইনের পরিবেশ ধ্বংস করছে তা আমি কোন ভাবেই বুঝতে পারছিনা। আমি বুঝতে পারছি না। আমি জানতে চাই তার খুঁটির জোর কোথায়? কোন সাহসে সে আদালতের নির্দেশ অবমাননা করে? এ বিষয়ে প্রশাসন নীরব কেন? আপনারা বিশ্বাস না করলে আমার মোবাইল কলের লিস্ট চেক করুন। আমি কতবার সাহায্য চেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরাবর ফোন করেছি। থানায় প্রবেশ করেছি সাহায্যের জন্য। তিনি জানান এসিল্যান্ডের নোটিশ দাতা বরাবরে মোবাইল ফোনে জানালাম আপনারা মামলা তদন্তের জন্য ৯/৫/২০২২ ইং তারিখে নির্ধারণ করলেও বর্তমানে আমার চলাচলের পথে জোরপূর্বক সেফটি ট্যাঙ্কি দখল করে নিচ্ছে। আর এই কাজটি আপনারা পূর্বের নোটিশ প্রদান পরবর্তীতে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল না করে আবারও পুনরায় তদন্ত নোটিশ প্রদান করেছেন যাতে উল্লেখ রয়েছে আগামী ৯/৫/২০২২ ইং সরেজমিন আবারো তদন্ত করবেন বলে। বর্তমানে এই ঈদের বন্ধের সুযোগে আমার চলাচলের রাস্তা অবৈধভাবে দখল করে নিয়ে সেফটি ট্যাংকি নির্মাণ কাজ করছে জোরপূর্বক আমার প্রতিপক্ষ ফরিদুল আলম চৌধুরী। তিনি এই প্রতিবেদককে আরও জানান এভাবেই তিনি বার বার আকুতি জানিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য কোথাও কোনো সাহায্য পায়নি। ক্রন্দনরত অবস্থায় তিনি আরো বলেন আমি নিশ্চয়ই মামলার আগামী তারিখে মাননীয় আদালত এ বিষয়টির উপরে সুবিচার চাইবো, মাননীয় আদালত নিশ্চয়ই আমার সাথে ঈদ বন্ধের সুযোগ নিয়ে যে অন্যায় করা হয়েছে তার সুবিচার করবেন।