চট্টগ্রাম থেকে ঈদ উপলক্ষ্যে নেওয়া হচ্ছে ডাবল ভাড়া!অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও টিকেট সংগ্রহে চলছে ভ্রমণে চরম যাত্রীঝুকি ভোগান্তির যেন অন্ত নেই।বিআরটিসি পরিবহনসহ বেসরকারি পরিবহনেও চলছে প্রকাশ্যে জনসম্মূখে ডাবলভাড়া আদায়ের হটস্পট।প্রতিটি কাউন্টার যেন আলাউদ্দিনের চেরাগের দৈত্যদানবে ছোয়ায় কাঁচাটাকা উৎপাদনের মেশিনে পরিণত হয়েছে চলছে রমরমা বাণিজ্য। ভুক্তভোগী যাত্রীরা নিরূপায় হয়ে ফাঁদে পড়ে বাধ্য হচ্ছে ডাবল ভাড়ায় টিকেট নিতে।এখানেই শেষ নয়,নির্দিষ্ট আসনের বুকিং করা সীট ছাড়াও টিকেট নাই বলে প্রতি গাড়িতে বাড়তি অতিরিক্ত টিকেট বিক্রি করছে কমপক্ষে ২৫ জন করে।
পর্যায়ক্রমে ঝুকিপূর্ণ ও মাত্রাঅতিরিক্ত যাত্রী তুলে গেদাগেদি হজবরল পরিবহন করে যা কিনা স্বাস্থ্যঝুকি ও চরম ভোগান্তিতে ফেলছে নিরাপদ যাত্রায় জীবনঝুঁকিতে পরিনত করছে। একজনের উপর আরেকজনকে বসানো হচ্ছে বিভ্রান্তির,মিথ্যা তথ্যবিভ্রাটে ফেলে, সুবিধাজনক অবস্থানে বসানোর কথা বলে করা হচ্ছে চরম বিষাদ প্রতারণা।কোনরকম কায়দায় কৌশলে সম্পূর্ণ মিথ্যা অজুহাতে অতিরিক্ত টিকেট বিক্রি করছে টুলবক্স মোড়ায় বসার কথা বলে।এমন জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত শুধু বিআরটিসি পরিবহনে নয়,ট্রেন-বাস নৌপথসহ সবদিকেই যেন জিম্মি পরিবহন মালিক পক্ষের দ্বারা অমানবিক বিবেকহীন সিদ্ধান্তে বাড়তি ভাড়া আদায়ের নাটকীয় নীতিমালা বহির্ভূত বিবেগমৃত দানবীয় নানা কর্মকান্ডে।
সরেজমিনে দেখা যায়,ভুক্তভোগী যাত্রীরা নিরূপায় হয়ে বাধ্য হচ্ছে ডাবল ভাড়ায় টিকেট নিতে। সারাবছর কোন প্রকার ছুটি না থাকায় ঈদের ছুটিই হল বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র সুযোগ ও ভরসা।তাই ঈদের ছুটিতেই তাদের বাড়ি যেতেই হবে যে কোন উপায়ে। আর অসহায় যাত্রীদের দুর্বলতা সরলতার সুযোগটা কাজে লাগায় পরিবহন মালিক পক্ষ সিন্ডিকেট দ্বারা।বাড়তি ভাড়া আদায় যেন প্রতি ঈদে স্বাভাবিক সাধারণ ব্যাপার।যা কিনা অত্যান্ত নিখুঁত কৌশলে বিভিন্ন কল-কৌশলে ভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে,কু-কৌশলে, ভিন্ন ভিন্ন অসৎপথ অপচেষ্টায় কার্যকর করে থাকে। তারপরও ভুক্তভোগী যাত্রীরা টিকেট নিতে মরিয়া। শহর নির্ভর এসব গ্রামনিবাসীদের তাদের বিশেষ প্রয়োজন,ঈদছুটি ছাড়া নিজ কর্মস্থলের ছুটি না পাওয়া,পরিবার,প্রিয়জনকে দেখার আবেগ,অনুভূতি,তীব্র আকাঙ্খা,নানা প্রয়োজনীয়তার কারনেই অভিযোগ থাকলেও কোন প্রতিবাদ করে না।সব যেন ভাগ্যের হাতেই নির্মম সত্যকে মেনে নেওয়া।
আর যারা নাকি প্রতিবাদ করে তারা নানাভাবে নানা অজুহাতে হয়রানি হুমকি দামকির স্বীকার হতে হয়।যাত্রীবান্ধব সংশ্লিষ্ট যাঁরা উপকার বা বিকল্প সহায়ক ভূমিকা পালন করার কথা তাঁদের কর্তৃক গৃহীত ব্যাবস্থাপনায় নিরাপত্তহীনতায় অভিযোগ দিতে রাজি নয় ভুক্তভোগীরা
। অভিযোগের পূর্বতিক্ততা অভিজ্ঞতা জেরে অভিযোগ করাই যেন নিজেকে উল্টো মালিক পক্ষের দ্বারা অভিযুক্ত করা।অভিযোগ করাটা যেন জটিলতা ও খামাকা ঝুঁকি ঝামেলা সমস্যা মনে করে।সবদিগেই অনিয়ম তাই অহেতুক যাত্রীসুবিধা ও ন্যায্য ভাড়ায় টিকেট পাওয়াটাই যেন অবাস্তব অস্বাভাবিক। বাস্তবতায় সত্যকথা, প্রতিবাদ করে ক্ষতিছাড়া কোন লাভ নেই। পরিস্থিতিতে যাত্রী ভোগান্তি ডবল ভাড়ায় টিকেট নিতে পারলেই চলে।তারপররেও মিলবে বাড়িতে যাওয়ার শতভাগ দুশ্চিন্তা অনিশ্চিয়তা থেকে পরিত্রাণ। এককথায় ঈদে যাত্রীসুবিধা তো অনেক দুরের কথা।পাশাপাশি বাস্তবতায় ভুক্তভোগী জনসাধারণ নিরূপায় অসহায় সেইসাথে টিকেটে পাওয়া না পাওয়া নিয়েও সাধারণ যাত্রীরা মনে আশংঙ্কা।নানা হয়রানি স্বীকারসহ অভিভাবকহীন যাত্রীদের চরম যাত্রী ভোগান্তিতে যেন দেখারমত যেন কেউ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়,বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বিআরটিসি,ঢাকা,ভৈরব,কিশোরগঞ্জ,নেত্রকোনা,
ময়মনসিংহ,ও সিলেটসহ বিভিন্ন দুরদুরান্তের গন্তব্যে ঈদ যাত্রার অগ্রিম টিকিট নিয়ে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নিত্যনতুনভাবে।
বাড়তি বাড়ায় অগ্রীম টিকিট বুকিং।দরাদরি করলে টিকেট নেই,খরচ বেশি,গাড়ির সংকট দেখিয়ে চরম ভোগান্তি ও ভীষণ চাপে ফেলে সাধারণত যাত্রীদের ফাঁদে ফেলে নিচ্ছে ডবল ভাড়া। মূলগাড়ির টিকেট পাশাপাশি এক্সট্রা গাড়িতেও পাওয়া যাচ্ছে না তাছাড়াও খরচও বেশি বা নানাভাবে অজুহাতে টিকেট নিয়েও হরদম যুদ্ধ চলছে প্রকাশ্যেই।যারা যাত্রী তাঁরাই একমাত্র হারেহারে তার বিষাদের তিক্ততা উপলব্ধি করতে পারে।
সরেজমিনে দেখা যায় বিআরটিসি কাউন্টার কদমতলীতে বিআরটিসি বাসের সিলেট ও হবিগঞ্জ যাত্রীর সকলের টিকেট নেয় ডাবল দামে। কাউন্টারের সামনে কথা হয় অন্তত ২০/২৫ জনের মধ্যে।যাত্রীদের মধ্যে তারা অনেকেই টিকেট নিয়েছেন অনেকেই এসেছেন টিকিট নিতে। কিন্তু কোনো কাউন্টার থেকে টিকিট নিতে পারেননি ডবল ভাড়া ছাড়া।অনেকে অনেক অনুরোধ করেও ব্যর্থ হয়েছেন ডাবল দামে বিক্রি টিকেট সামান্য হলেও কমাতে। অন্য কাউন্টারে
৫/৬শত টাকার ভাড়া ১ হাজার তাও সিটি গেইটের বাহিরে গিয়ে উঠতে হবে।যেখানে যেতে লাগবে আরও বাড়তি ২শত টাকা
নাম জানাতে অনিচ্ছুক কাউন্টার মাস্টার বলেন,ঈদের চার দিন আগেই আমাদের নির্ধারিত টিকিট বিক্রি শেষ করেছি। এখন আমাদের হাতে কোনো টিকিট নেই। বাইরে যারা টিকিট বিক্রি করছেন, তারা হয়তো অন্য কোনো যাত্রীর ফেরত দেওয়া টিকিট বিক্রি করছেন। এটার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কেউ তাদের কাছ থেকে টিকিট নিতে চাইলে নিতে পারবে।
সহজে কোথাও মিলছে না ট্রেন বা বাসের টিকিট। কাউন্টারগুলো থেকে টিকিট নেই জানিয়ে দেওয়া হলেও বাইরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে টিকিট নামের সোনার হরিণ। কোনো কোনো বাস কাউন্টারে ৫ মে থেকে ৯ মের টিকিট দেওয়া শেষ হয়েছে উল্লেখ করে সাঁটানো হয়েছে নোটিশও।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ,কালোবাজারিদের হাতে চলে গেছে
ঈদঅগ্রীম ও ঈদপরবর্তী যাত্রার টিকিটও। এ কারণে চলছে টিকিটের জন্য হাহাকার। কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা আর ধরণা দিতে হচ্ছে।আবার অনেকে কাউন্টার থেকে টিকিট নেই বলে যাত্রীদের ফিরিয়ে দিলেও গোপনে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছে। কালোবাজারিদের হাতেও বাড়তি দাম ধরিয়ে দিলেই পাওয়া যাচ্ছে টিকিট।
ঈদ-পরবর্তী যাত্রার টিকিট নিয়েও কারসাজির এ চিত্র দেখা যায় নগরীর অলংকার