এফ আই আর ভুক্ত আসামি ভিতরবন্দ স্নাতক মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৭ বার পঠিত

 

কুড়িগ্রাম জেলার ভিতরবন্দ স্নাতক মহাবিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯৩ সালে। সেই থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে শিক্ষা কার্যক্রম । এলাকার ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার মান উন্নয়নে যা ইতিবাচক অবদান রেখে চলেছে। কলেজের প্রশাসন এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিরলস প্রচেষ্টায় ছাত্র-ছাত্রীরা ভাল ফলাফলের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে কলেজর মান উজ্জ্বল করে চলেছে।

তথ্য নিয়ে জানা যায় ভিতরবন্দ স্নাতক মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান বুলবুল ২০১৭ সালে কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার পর থেকে কলেজের উপাধ্যক্ষ ফারুক হোসেন আহমেদ এর সঙ্গে অধ্যক্ষের বাগবিতন্ডা ও মতের অমিল শুরু হয় এবং ক্রমান্বয়ে তাদের দুজনের সম্পর্কের তিক্ততা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এরই মাঝে দেশের পট পরিবর্তনের পর দুজনের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।

এরই ধারাবাহিকতায় কলেজের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার লক্ষ্যে কলেজের সভাপতি নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপাধ্যক্ষ ফারুক হোসেন আহমেদকে সাময়িকভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন। দায়িত্ব হস্তান্তর না হওয়ায় পূর্বের ন্যায় অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান বুলবুল কলেজে প্রবেশ করলে উপাধ্যক্ষ তার লোকজন সহ অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন এবং অধ্যক্ষের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে ফেলেন। এই খবর পেয়ে অধ্যক্ষের ভাইয়েরা ঘটনাস্থলে কলেজের গেটে পৌছিলে উপাধ্যক্ষ সহ তার ভাইয়েরা তাদেরকে মারপিট ও জখম করে এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্যাদি উল্লেখ করে থানায় এফআইআর দায়ের করায় অধ্যক্ষ আত্মগোপনে চলে যান । অধ্যক্ষ ঘটনার বিবরণ দিয়ে কোর্টের মাধ্যমে উপাধ্যক্ষ সহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। উপাধাক্ষ নিজে এফআইআর ভুক্ত আসামি হয়ে আত্মগোপনে থেকে কিভাবে কলেজে নিয়মিত উপস্থিত হয়ে প্রশাসনিক কাজকর্ম করেন এতে এলাকাবাসীর মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে কলেজ বন্ধের দিন অধ্যক্ষর রুমের তালা ভেঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় ফাইল, রেজুলেশন বই, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্টার বই ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ প্রায় ৬ (ছয়) লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যান । এতে কলেজের প্রশাসনিক কাঠামো একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। তাই অন্য একজন সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে কলেজের কাজকর্ম করার অনুরোধ জানান এলাকাবাসী । ওই সময় আমরা সেখানে গেলে বিভিন্ন লোকের মুখে জানতে পাইলাম যে ঘটনা সত্য , কিন্তু তারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায় অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান বুলবুল একজন ভালো মনের মানুষ এবং গণিত বিষয়ের একজন ভালো শিক্ষক হিসেবে নিয়মিত কলেজে পাঠদান সহ কলেজের অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করা সহ মেধাবী গরীব ঘরের ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিতেন । এছাড়াও তার অনেক ভালো কাজ আছে যা নজর কেরেছে অভিভাবকদের।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর