কুড়িগ্রামে কুড়িগ্রাম উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪
  • ৪৬ বার পঠিত

 

 

 

 

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কুড়িগ্রামের দুটি উপজেলার ২ বিএনপি নেতা ও ২ নেত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম শাহিন শিকদার, নাগেশ্বরী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান, নাগেশ্বরী উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আমেনা খাতুন অনন্যা, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌসি বেগম।

বুধবার (১৫ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা চিঠিতে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে (অভিযুক্তদের) বহিষ্কার করা হলো। এর আগে গত ১৩ মে তাদের কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

চিঠির অনুলিপি রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমসহ কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বহিষ্কৃত চারজনের মধ্যে ফরিদুল ইসলাম শাহিন শিকদার চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৬ষ্ঠ পর্যায়ের ৩য় ধাপে আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেহেদি হাসান নাগেশ্বরী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে টিউবওয়েল প্রতীক, আমেনা খাতুন অনন্যা ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে কলস প্রতীক ও ফেরদৌসি বেগম ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হক শাহিন শিকদার জানান, বহিষ্কারের কোনও চিঠি হাতে পাইনি। তিনি আরও জানান, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।

নাগেশ্বরী উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌসি বেগম জানান, বহিষ্কারসংক্রান্ত চিঠি হাতে পাইনি। কারণ দর্শানোর চিঠি পেয়েছিলাম সেটার জবাব দিয়েছি। দল তার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে জনগণ চেয়েছে বলে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। শেষ পর্যন্ত ভোটের লড়াই করে যাব।

কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম বেবু বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দলীয় নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কেন্দ্র তাদেরকে বহিষ্কার করেছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর