কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে পুলিশের অভিযানে পুলিশকে সহায়তা না করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা এবং মাদক ব্যবসায়ীকে পলায়নে সহায়তা করার অপরাধে এক ইউপি সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম কারাগারে প্রেরণ করেছে। একই দিন সন্ধ্যায় ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণ কৃঞ্চ দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত ওই ইউপি সদস্যের নাম সাইফুল ইসলাম (৪১)। তিনি ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬নং নাগদাহ ওয়ার্ডের সদস্য।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার (১ মে) রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলবাড়ী থানা পুলিশের এসআই শাহানুর আলমের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার খড়িয়াটারী এলাকার মাদক কারবারি জাহাঙ্গীর আলমের (৩৮) বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় জাহাঙ্গীরের বাড়ি থেকে ২৩৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে জাহাঙ্গীর ও তার বড় ভাই জামালকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। মাদক কারবারি জাহাঙ্গীর ও জামাল ইয়াবাসহ আটক হওয়ার খবর পেয়ে ইউপি সদস্য সাইফুল ঘটনাস্থলে গিয়ে চিল্লাচিল্লি করে লোকজন জড়ো করেন।
একপর্যায়ে আটক জাহাঙ্গীর ও জামালকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য ওই ইউপি সদস্য লোকজন নিয়ে পুলিশের সঙ্গে টানাহেঁচড়া করেন। এই সুযোগে পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় মাদক কারবারি জাহাঙ্গীর। মাদক কারবারির ধাক্কায় এসআই শাহানুর আলম আহত হন। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামকে আটক করে উদ্ধারকৃত ইয়াবা ও অপর আসামি জামাল উদ্দিনকে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুলবাড়ী থানা পুলিশের এসআই শাহানুর আলম বাদী হয়ে ইউপি সদস্যসহ চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশের এসআই শাহানুর আলম বলেন, ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম তাদের লোকজন নিয়ে আসামি ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য টানাহেঁচড়া করে। এ সময় আসামি জাহাঙ্গীর আমাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে বাম হাতে আঘাত পেয়ে সামান্য আহত হয়েছি।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, মাদকবিরোধী অভিযানে সহযোগিতা না করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং অবৈধ মাদকদ্রব্য মজুত রাখার অপরাধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তার দুই আসামিকে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।