২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল চত্ত্বরে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স পার্কিং বন্ধ করার প্রতিপাদে ১৬ জুলাই’ ২০২৪ইং মঙ্গলবার ৬ ঘন্টা ব্যাপী প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স চালকরা রোগী পরিবহন বন্ধ রাখায় রোগীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে।
অভিযোগে জানা যায়, কোন প্রকার কারণ ছাড়াই গত কয়েকদিন ধরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল চত্ত্বরে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স পার্কিং বন্ধের জন্য বার বার পুলিশ প্রশাসন অভিযান চালান। এ কারণে পার্কিং সুবিধা না পেয়ে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স গুলো হাসপাতালের সামনে সড়কের পার্শ্বে রেখে রোগী পরিবহন করে আসছে। এতে করে হাসপাতালগামী চলাচলকারী রোগী ও তার আত্মীয় স্বজন এবং এলাকার লোকজন যানজটের কারণে দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছিল।
এ কারণে পূর্বের ন্যায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল চত্ত্বরে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সে পার্কিং সুবিধা চালুর জন্য ড্রাইভাররা কয়েক দফায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলেও নানা অযুহাতে তাদের দাবি মেনে নেয়া হচ্ছিল না। ফলশ্রুতিতে ১৬ জুলাই’২০২৪ইং মঙ্গলবার সকাল থেকে ৬ ঘন্টা ব্যাপী প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স চালকরা রোগী পরিবহন বন্ধ রাখে। আগামীতে তাদের দাবি না মেনে নেওয়া হলে আবারো তারা রোগী পরিবহন বন্ধ রাখবে বলে জানায়। রোগী পরিবহন বন্ধ থাকায় সরকারি এ্যাম্বুলেন্সগুলো পর্যাপ্ত পরিমান রোগীকে সেবা দিতে না পারায় হাসপাতাল চত্ত্বরে রোগীদের দুর্ভোগ দেখা দেয়। এ সময় ভ্যানে করে লাশ পরিবহন করা হয়। চিলমারীর একটি রোগীর লাশ পরিবহন করতে গিয়ে রোগীর পরিবার নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হয়।
প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স গুলোর জন্য হাসপাতালে পার্কিং ব্যবস্থা রাখার দাবি জানায় জাতীয় শ্রমিক লীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার শ্রমিক কল্যাণ সম্পাদক এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মমিনুল ইসলাম জিয়ন, কুড়িগ্রাম জেলা ট্রাক, ট্যাংকলড়ী, কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কার্যকরী সদস্য এ্যাম্বুলেন্স শাহ জালাল বাবু সহ এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার আলি ইমাম আঙ্গুর, জামিল ইসলাম, শ্রী সুমন চন্দ্র রবিদাস ও মোস্তফা কামাল প্রমূখ।