কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে থানায় সালিশি বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে কাকলী পারভীন (৩৭) নামের এক নারীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আহত কাকলী খাতুন উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আলামিন ফরিদের স্ত্রী।
জানা গেছে গতকাল (১৫ জুলাই) কাকলী পারভীন ও হীরা খাতুনের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে চলমান নিজেদের শরীকানা জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মেটাতে থানাতে সালিশি বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় সন্ধায় বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন কাকলী পারভীনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
কাকলী পারভীন জানান,জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনে গতকাল প্রশাসনের উদ্যোগে থানায় সালিশি বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠক শেষে আমি বাড়ি ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হিরা খাতুন,মোজাফফর মেম্বার,উজ্জ্বল,মিঠু,সজল ও মাসুদ রানাসহ বেশ কয়েকজন মিলে আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এবিষয়ে প্রতিপক্ষের উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, কাকলী ও হিরা দুজনই আমার ভাতিজি,ওদের বাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল থানায় সালিশও হয়েছে কিন্তু তারপর ফেরার পথে কাকলীকে মারধরের যে কথা উঠেছে তা আমার জানা নেই আর তা ছাড়া কাকলী এমনিতেই শারীরিক ভাবে অসুস্থ।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, কাকলী পারভীনকে মারধরের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনার সত্যতার বিষয়ে তদন্ত করছে। সুষ্ঠু নিরেপক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।