কুষ্টিয়া শহরতলীর মোল্লা তেঘড়িয়া ক্যানেলপাড়া রান্না ঘর থেকে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় রিমি (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৫ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৮টার সময় রুবিনা নামে এক প্রতিবেশী বাড়ির ভিতরে পানি আনতে গেলে পচা গন্ধ পায়। বিষয়টি ঐ মহিলা বাড়ির মালিক মুরাদ হোসেনকে জানালে সে পুলিশকে সংবাদ দেয়।
পুলিশ এসে গৃহবধূর অর্ধগলিত মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ভাস্যমতে আনুমানিক এক মাস পূর্বে মৃত দেহটি মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মৃত দেহটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির মালিক মুরাদ হোসেনের দেওয়া তথ্যমতে গত ফ্রেব্রুয়ারি মাসে খোকসার বাসিন্দা আলামিন (২৫) এক হাজার টাকা মাসিক চুক্তিতে বাসা ভাড়া নেয়। ওই বাসায় আলামিন ও তার স্ত্রী রিমি থাকত। কুষ্টিয়া জাহাঙ্গীর হোটেলের মিষ্টি বানানোর কারিগর হিসাবে কাজ করত আলামিন। আলামিন গত এক মাস যাবৎ ওই বাসায় ভাড়া থাকলেও আসত না। বাড়ির মালিক একাধিকবার মোবাইল ফোনে আলামিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পায়নি।
তিন মাস আগে বাসা ভাড়া নেওয়ায় প্রতিবেশীরাও তেমনভাবে চিনতো না আলামিন ও তার স্ত্রী রিমিকে। প্রতিবেশী ও পুলিশের ধারনা পারিবারিক কলোহের জেরে আলামিন তার স্ত্রী রিমিকে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এবিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নিশিকান্ত জানায়, প্রাথমিক ভাবে উদ্ধার করা অর্ধগলিত মৃত দেহটি আলামিনের স্ত্রীর। তবে ময়না তদন্ত শেষে নিশ্চিত করা যাবে বিষয়টি।