কুষ্টিয়া জেলার লৌহ মানব নামে ক্ষ্যত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানকে শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরকৃত নোটিশ গত ১১ মে (শনিবার) পাঠানো হলেও বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিল জেলা আওয়ামীলীগ। গত শনিবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা জুড়ে ওঠে সমালোচনার ঝড়। অবশেষে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উক্ত নোটিশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত আপনার (সদর উদ্দিন খান) বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে এবং তা সংগঠনের রীতিনীতি ও আদর্শ পরিপন্থি। শিষ্টাচারবহির্ভূতভাবে প্রদত্ত আপনার বক্তব্য সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমতাবস্থায় আপনার (সদর উদ্দিন খান) বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ব্যাখ্যাসহ লিখিত জবাব ১৫ দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রিক মিডিয়া সহ বিভিন্ন মিডিয়ার বরাতে জানা যায়, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের আগে গত ১মে সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের গোসাইডাঙ্গি গ্রামে একটি নির্বাচনী পথসভায় সদর উদ্দিন তাঁর ছোট ভাই ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী রহিম উদ্দিন খানের পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত দিয়ে বক্তব্য দেন। সেখানে সদর উদ্দিনের দেওয়া বক্তব্যের ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলেন তিনি, এসব বক্তব্যকে আপত্তিকর বলে উল্লেখ করেছেন অনেকেই। এছাড়াও গত কয়েক মাসে বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্য, নানান অপকর্ম ও কর্মকাণ্ডের কারণে জেলা জুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা। এদিকে তার অনুসারীরা তাকে লৌহ মানব ক্ষ্যতিতে ভ’ষিত করেছেন।
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী নোটিশ হাতে পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও এবিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। অন্যদিকে কথা বলার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি তা রিসিভ না করে তার মুঠোফোনটি বন্ধ করে দেন।