কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পৌরসভার ১৬নং ওয়ার্ডের মঙ্গলবাড়ীয়া গোরস্থানের পাশে পতিত স্থানে প্রতিদিন রাতেই মাদক কেনাবেচা ও সেবন চলছে। উল্লেখ্য ইয়াবা, ফেনসিডিল, ট্যাপেন্ডাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ নেশাযুক্ত মাদক কেনাবেচা ও সেবন চলছে। প্রতিদিনই উঠতি বয়সী কিশোর ও যুবকরা সাধারণ জনগণের সামনেই মাদক সেবন করছে বলে জানা গেছে। সাধারণ জনগণ এসকল মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা দেশীয় অস্ত্রের ভয়ে কিছু বলতে পারে না, কিছু বললেই মাদক সেবনকারী ও মাদক বিক্রেতারা বিভিন্ন কায়দায় প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে থাকে। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে মঙ্গলবাড়িয়া বাঁধ এলাকায় অসংখ্য পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করছে মাদক ব্যবসায়ের অর্থ দিয়ে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কয়েকটি বাড়িতে একই পরিবারের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী ও দেবর মিলে চালাচ্ছেন রমরমা মাদক ব্যবসা। মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে মাদক বিক্রির টাকা লেনদেন হচ্ছে। সত্য উদঘাটনে বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে কলম ধরলেই প্রাণনাশের হুমকি খেতে হচ্ছে সাংবাদিকদের। এ দিকে দীর্ঘদিন গোরস্থানের পাশে এই পতিত স্থানে মাদক বিক্রেতারা মাদক বিক্রয় করে এবং সেবনকারীরা মাদক সেবন করে। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে এসে মাদক সেবনকারীরা এই স্থানে মাদক নিরাপদে সেবন করে। মাদক হাতের নাগালে পাওয়ায় এবং সেবনের স্থান নিরাপদ হওয়ায় এই এলাকার কিশোর ও যুবকরা দিনে দিনে মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এলাকার মধ্যে তরুণ কিশোর যুবকদের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকেন কখন যেন তার আদরের সন্তান স্কুল-কলেজ বিমুখ হয়ে মাদকসেবী হয়ে যায়।
স্থানীয় জনগণের তথ্য অনুযায়ী, এই পতিত স্থানটি মাদকের আস্তানায় পরিণত হয়েছে এবং ওইসব মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারী দেশীয় বিভিন্ন প্রকারের অস্ত্র সঙ্গে রেখে ক্ষমতা দেখায়। তাদের নাম প্রকাশ করতে ভীত সন্ত্রস্ত অসহায় নিরীহ এলাকাবাসী। যেখানে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার খাইরুল আলম ঘোষণা দিয়েছেন কুষ্টিয়ার জনগণ ঘুমাবে নিশ্চিন্তে এবং মাদক নির্মূল করবে প্রশাসন। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য জেলা পুলিশের নাকের ডগায় মঙ্গলবাড়ীয়া গোরস্থানের পাশে পতিত স্থানে চলছে রমরমা মাদকের ব্যবসা ও দেদারসে সেবন। সাধারণ জনগণ প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে অতিদ্রুত এই মাদকের আস্তানা নির্মূল করার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন জানান, আমরা অবগত হয়েছি। অতিসত্বর অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।