কুড়িগ্রাম জেলায় নদী ভাঙনের শিকার হয়ে প্রতিবছর গড়ে ৪ হাজারের বেশি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। এসব পরিবার সরকারি রাস্তার পাশে বা
অন্যের জমি ভারা নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। গত ২২ অক্টোবর কুড়িগ্রামে এক অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, বন্যার্ত ও নদী ভাঙনের শিকার প্রতিটি পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকার কুড়িগ্রামবাসীর ব্যানারে তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হচ্ছে-রাস্তায় ও অন্যের জমিতে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে, চলমান ভাঙনকবলিত স্থানে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিশেষ আর্থিক সহায়তা দিতে হবে, নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমি অধিগ্রহণ করে দ্রুত ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং স্থায়ীভাবে নদীভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
চলুন আমাদের আন্দোলন যে যার জায়গা থেকে। আন্দোলন চলমান থাকলে সরকার ব্যবস্থা নিবেই।