কুড়িগ্রামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে কর্মহীন শত শত দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ
নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সরকার। সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে শত শত দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। তবে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের চিত্র একেবারেই আলাদা জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ফুলকুমারসহ ১৬ টি নদী। এসব এলাকার চরাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ জানেন না করোনা ভাইরাস কী।
https://www.youtube.com/watch?v=Ywy4xtN1Lr4
এসব চরে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম না থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মানছে না তারা। চরবাসীর মাস্ক ব্যবহার তো দূরের কথা হাট বাজারে ঘুরছেন গাদাগাদি করে। তারা বলেন, মাস্ক পরলে দম বন্ধ হয়ে আসে। চর নারায়ণপুর ইউনিয়নের আবুল হোসেন বলেন, মাস্ক পরলে যন্ত্রণা ঠেকে তাই আমরা মাস্ক পরি না। আমার করোনার ভয় নাই, চরে করোনা ভাইরাস নাই। মাস্ক পরলে দম বন্ধ হয়ে যায়, তাই মাস্ক পরি না।’ চর জাহাজের আলগা গ্রামের আনিসুল বলেন, চরে করোনা ভাইরাস নাই।
https://www.youtube.com/watch?v=L8Grb5pRYGQ
যেদিন কুড়িগ্রাম যাই সেইদিন মাস্ক পরি, না পরলে পুলিশ ধরে। প্রথমবার যখন করোনা আসলো তখন মাস্ক পরছিলাম। এখানকার মানুষ ভাইরাস বিশ্বাস করে না। সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের( ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার জানান, আমার ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষের বসবাস চরে। চরের মানুষজন বলে, আমাদের এখানে ভাইরাস নাই, ভাইরাস আছে ঢাকায়। তাই তারা মাস্ক পরছে না। তবে সচেতনতা মূলক প্রচারণা চলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
https://www.youtube.com/watch?v=fGDfrSK7WAE
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম ঢাকা পোস্ট-কে জানান, আমাদের এখন মূল কাজ হচ্ছে মানুষকে ঘরে রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।