কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। টানা কয়েক দিন ধরে উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উলিপুরের জনজীবন।মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তামপাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে ঠাণ্ডায় শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা কাবু হয়ে পড়েছেন। বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। সেই সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা বেষ্টিত এলাকাগুলোতে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। শীতবস্ত্রের অভাবে কাহিল হয়ে পড়েছে অসহায় দুস্থ মানুষ। দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিললেও রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ায় ঠাণ্ডার তীব্রতা অনেক বেশি। জেলার রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পৌষের শুরু থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের জন্য ৪৭০টি করে ৬৫৮০টি কম্বল ও কম্বল ক্রয়ের জন্য ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মার্কেটগুলোতে গরম কাপড় কেনার হিড়িক পড়েছে। ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন শপিংমলে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।