মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাহারবাটী ইউনিয়নের জোড়পুকুরিয়াতে আশিক বিল্লাহ (৩৫) কে তার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত জমি ছেড়ে দিতে তালবাহানা ও মৃত্যু হুমকি দিচ্ছেন বড় ভাই আব্দুল হান্নান (৫০)।
অভিযোগে জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আশিক বিল্লাহ ওরফে জামাল হোসেন মেহেরপুর সমাচার কে জানান, আব্দুল হান্নান তার আপন ভাই। ভাই হান্নানের সহিত দীর্ঘদিন যাবত জামালের পিতার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত জমি নিয়ে জামাল, তার বোন জমেলা খাতুন ও আরজিনা খাতুনদের বিরোধ চলে আসছে। ভাই হান্নান কে তাহাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিজমা ভাগবাটোয়ারা করে দিতে বললে তাদের কথায় কোনরুপ কর্নপাত না করে তালবাহানা করেন।
এমতাবস্থায় জামাল হোসেন বিরোধ স্হানীয় ভাবে মিমাংসা করতে চাইলে ভাই হান্নান তা না মেনে চলে যায়। এর পরে আবারও জমি ভাগবাটোয়ারা করে দিতে বললে সে কোন রকম তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মৃত্যু হুমকি দেয়। একই সাথে জমি ভাগবাটোয়ারা করে দেবেনা বলে জানায়। এ ঘটনায় সাক্ষী একই গ্রামের আব্দুস সালাম ও বকুল হোসেনসহ অনেকে। এহেন ঘটনায় আত্বীয় স্বজনের সাথে আলোচনা করে গাংনী থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেন জামাল হোসেন। গত ২০ মার্চ ২০২১ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাংনী থানার এস আই সেতাব আলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অভিযোগে জোড়পুকুরিয়া মোজার খতিয়ান নং ৫৫৭, দাগ নং ১৩১৩, ৮৭৪, ১৫৪০, ১৬৫৬ ও ১৬৫৭ এর ১৮ শতক জমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক আসল মালিকদের দখলে দেওয়ার জন্য বলা হয়। পরে ২৩ মার্চ সালিশি বৈঠক বসলে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ শতক নিয়ে বাকি জমি ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও আব্দুল হান্নান মেনে নেননি। ১৮ শতক জমির মধ্যে ১২ শতক জমি জোর জবরদখল করে রেখেছেন। উল্লেখ্য, জামাল হোসেন, জমেলা খাতুন ও আরজিনা খাতুনের ১৮ শতক জমির ১২ শতকই জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে ভাই আব্দুল হান্নান ও তার ছেলে আশরাফুল এবং আরেক ছেলে আরিফুল। আব্দুল হান্নানের এক ছেলে কোন এক ক্যাম্পের এস আই হওয়ার সুবাদেই এ জোর খাটাচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
জমি ভাগবাটোয়ারার কথা বললেই বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি, মারধর ও মৃত্যু হুমকির মধ্যে রেখেছে জামালসহ তার বোনদের। তার দু’বোন প্রতিবন্ধী হওয়ায় জামাল পড়েছে বিপাকে। নম্র ও ভদ্র স্বভাবের কারণে কোন প্রতিবাদ জানাতে পারেনা। আর একারণেই ভাই আর ভাইয়ের ছেলেদের ভয়ে ভীতু হয়ে রয়েছে। জমির কথা বললেই তেড়ে আসে মারতে। বিষয়টি সাহারবাটী ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক ও ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দীনকে অবগত করা হয়েছে বলে জামাল হোসেন জানান।
এবিষয়ে ২৯ মার্চ ২০২১ গাংনী থানায় একটি সাধারণ ডায়রীও করা হয়েছে যার নং ১৩৭৩। ভুক্তভোগী আশিক বিল্লাহ ওরফে জামাল হোসেন মেহেরপুর সমাচার কে বলেন, ওদের ভয়ে ভীতু হয়ে আর কতদিন থাকতে হবে। কবে হবে এর সুরাহা? টাকা দিয়ে জমি কিনেছি নিজের প্রয়োজনে অথচ ছেলে এস আই হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন ভয়ভীতি, মারপিট, মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলের ঘানি টানাবে বলে জোর জবরদখল করে নিয়েছে আমার ও আমার বোনদের জমি। এমতাবস্থায় কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা।
দেশে কি আইনকানুন বলতে কিছু নেই? দেশটা কি মগের মুল্লুক নাকি? ভুক্তভোগী জামাল হোসেন দখলদার আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক অনতিবিলম্বে তার ও বোনদের জমিজমা বুঝিয়ে পেতে উর্ধতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।