মেহেরপুরের গাংনীতে রবজেল হোসেন(৪৫) এক প্রবাসীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে,পরিবারের লোকজন বলছে এটি হত্যা। আজ রবিবার সকাল ১০টার দিকে তার ঝুলন্ত লাশ ডাইনিং রুমে দেখতে পাই স্থানীয় লোকজন।নিহত রবজেল হোসেন উপজেলার কাথুলী ইউনিয়ানের খাসমহল গ্রামের নতুন পাড়ার মৃত আবের আলী ছেলে।
নিহতের বড় ছেলে প্রবাসী টুটুল হোসেন জানান, আমার বাবা আমার বড় চাচার কাছ থেকে ১০লক্ষ টাকা পায়।গতকয়েক দিন আগে ৪লক্ষ টাকা দিয়েছে এই টাকাতে কেন্দ্র করে আমার বাড়িতে প্রায় সময় আমার মায়ের সাথে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। গত শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে এই নিয়ে আমার মায়ের সাথে বাবার ঝগড়া বিবাদ হয়।এই নিয়ে আমার বড় চাচার বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখতে পারে।
রবজেল আলী স্ত্রী বেলী খাতুন জানান, টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার(২৪সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সে আমাকে লাঠি দিয়ে পায়ে আঘাত করলে অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে পরিবারের লোকজন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা শেষে আমি আমার বিয়াই(ছেলের শ্বশুর) বাড়ি অবস্থান করি। হঠাৎ আমাদের কাছে খবর আসে আমার স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে রবজেল এর সাথে বসে অনেকক্ষণ গল্পগুজব করেছি কিন্তু সে যে আত্মহত্যা করবে এটি আমরা কখনো ভাবতেও পারিনি। পড়ে শুনতে পায় রবজেল আত্মহত্যা করেছে কিন্তু যে সময় সে আত্মহত্যা করে তখন পরিবারের লোকজন কেউ বাসায় ছিলেন না।
নিহতের ভাই শহিদুল ইসলাম জানান, আমার ভাই আমাকে ৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন সে গত ০৮/০৯/২১ দেশে ফিরে আসলে,আমি তাকে ১০/০৯/২১ তারিখে ৬ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছি। পরবর্তীতে জানতে পারি তার বাক্স থেকে টাকা ছিনতাই হয়ে গেছে। তার কাছে ১০ লক্ষ টাকা পেত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কাথুলী ইউনিয়ানের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য একরামুল হক জানান, পারিবারিক কলহের জেরে রবজেল আত্মহত্যা করেছে। তবে ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক টাকা পেত সেটি আমরা লোকের মুখে শুনেছি।
গাংনী থানার ওসি মোঃ বজলুর রহমান জানান, আত্মহত্যার ঘটনা শুনে আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে এটি জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।তিনি আরো জানান,পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।