মেহেরপুরের গাংনীতে বেআইনীভাবে জমি দখল করে চাষে বাঁধা প্রদান করায় হত্যার হুমকীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন গাংনী উপজেলার মহেষপুর গ্রামের মৃত মেহেরুল্লাহ’র ছেলে গাংনী পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ড পূর্ব মালশাদহের মোশারফ হোসেন। শুক্রবার (২৬ আগস্ট), সন্ধায় মোশারফ হোসেন গাংনী উপজেলার মহেষপুর গ্রামের মৃত সামসুদ্দীন মন্ডলের ছেলে আলেক (৬০), খোকন (৪৫), গাংনী পৌরসভা পাড়া ৭ নং ওয়ার্ডের আব্দুস সালামের ছেলে আবু সাঈদ, করমদী গ্রামের রুহুল আমীনের ছেলে খায়রুল ইসলাম (৩৫), কাস্টদহ গ্রামের মৃত আতর আলীর ছেলে ছিদ্দিকুর রহমান (৫৫), গাংনী পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর পাড়ার মৃত নবীছদ্দীনের স্ত্রী পরিছন্নেছা (৫৯) ও মহেষপুর গ্রামের খোকনের স্ত্রী পারভীনা খাতুনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে মোশারফ হোসেন উল্লেখ করেন, পরিছন্নেছার সাথে গাংনী উপজেলার কাস্টদহ মোজার আর এস খতিয়ান ৪৮২ আর এস দাগ নং ১১৮ বাটা ১১৭২ জমির ৪১ শতক নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল তিনার। শুক্রবার ২৬ আগস্ট-২০২২ বিকেল ৫ টার দিকে তিনি (মোশারফ হোসেন) উক্ত জমি দেখতে গেলে বিবাদীগন হাঁসুয়া, দা, বাঁশের লাঠি সহকারে বেআইনি জনতাবদ্ধে অনাধিকার তিনার জমিতে প্রবেশ করে এবং জমি দখল করে চাষ শুরু করেন। এসময় তিনি বাঁধা দিতে গেলে পরিছন্নেছার হুকুমে খোকন তিনার (মোশারফ হোসেনের) গলা টিপে ধরে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় আলেক, আবু সাঈদ, খায়রুল ও ছিদ্দিকুর বাঁশের লাঠি দ্বারা তিনাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
এতে মোশারফ হোসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম হয়। আলেক ও খোকন গলায় হাঁসুয়া ঠেকিয়ে তুনাকে হত্যারও হুমকী প্রদান করেন। এসময় তিনার চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন ছুটে এসে তিনাকে উদ্ধার করেন। বিবাদীরা চলে যাওয়ার সময়ও তিনাকে খুন, জখমের হুমকী প্রদান করেন। পরে তিনি বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্য ও আত্বীয়-স্বজনকে জানালে তারা থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেন। পরামর্শ অনুযায়ী তিনি বিবাদীদের বিরুদ্ধে থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
এমতবস্থায় মোশারফ হোসেনকে মারধর ও হত্যার হুমকীতে তদন্ত সাপেক্ষে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন। এব্যাপারে বিবাদী আবু সাঈদের বাবা হবিগঞ্জে অবস্থানকারী আব্দুস সালামকে ফোন করে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, কলাইয়ের আবাদের জন্য তিনি জমি চাষ করেছেন। উক্ত জমি মোশারফ হোসেনের নয় বলেও তিনি জানান। তিনি জানান, জমিতে ১৪৫ ধারা অব্যাহত থাকার পর সম্প্রতি মোশারফ হোসেন তা তুলে নেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ জমি আমার দখলে রয়েছে সুতরাং এ জমি আমার ছাড়া কার হবে। এদিকে ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেন জানান, এ জমি আমার হলেও কতিপয় লোকের হাতে এ বয়সে মার খেতে হলো। তিনি জানান, আমার ৮ বছরের ডিগ্রি, খারিজ ও খাজনার চেক রয়েছে। মারধরের ঘটনায় আমি ৯৯৯ এ ফোন করলে তিনারা এসে উপস্থিত হন। পরে গাংনী থানা পুলিশের এসআই মাসুদও উপস্থিত হন। ততক্ষণে বিবাদীরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। বিবাদীরা বেআইনিভাবে আমার জমি চাষ করেছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।