কুষ্টিয়ায় জুগিয়ায় কোন মানুষ মারা গেলে গুনতে হচ্ছে ৫ হাজার টাকা। গরীব, অসহায়, ভ্যানচালক থেকে শুরু করে ধনী কেউ বাদ যায় না চাঁদার টাকা থেকে। লাশ প্রতি ৫ হাজার টাকা রশিদ দিয়ে আদায় করা হয় টাকা। তবে সবার জন্য ৫ হাজার নয়, ধনী ব্যক্তিদের জন্য চাঁদার পরিমান বেশী। গোরস্থান কমিটির মদখোর সভাপতি জামাল মালিথা গোরস্থানে বসেই মদ পান করে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার এসব কর্মে বাধা দেয়ায় ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজকে কুপিয়ে তার হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে গোরস্থান কমিটির সভাপতি জামালের জামাই পৌর কাউন্সিলর শাহিনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী।
জানা যায়, জুগিয়া রাস্তাপাড়া গোরস্থান, জামে মসজিদ, ঈদগাহ, মাদ্রাসাসহ ঐ ওয়ার্ডের সকল ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সব কমিটির সভাপতি ছিলেন ওই মদখোর জামাল মালিথা। মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনে টাকা আদায়ের বিষয়টি এলাকার সাধারণ মানুষ ভালো চোখে নেয়নি। স্থানীয়রা ভয়ে মুখ না খুললেও যুবলীগ নেতা হাফিজ বিরোধীতা করে। আস্তে আস্তে জনমত তৈরী হয় জামালের বিরুদ্ধে। গত দুই সপ্তাহ আগে নির্বাচনে গোরস্থানসহ সকল কমিটির সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়ে জামাল। এতে ক্ষিপ্ত হয় জামাল ও তার জামাই পৌর কাউন্সিলর শাহিন।
তারপর থেকেই হত্যার হত্যার মিশনে নামে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিত ভাবে শনিবার রাত ৮ টার দিকে শাহিনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ে যুবলীগ নেতা হাফিজের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। যুবদলের নেতা হিসেবে রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করা পৌর কাউন্সিলর শাহিন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিনের ডানহাত খ্যাত কাউন্সিলর শাহিন উদ্দিন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতার আশ্রয়ে হয়ে ওঠে এই চরমপন্থী অবলম্বনকারী শাহীন।
হাফিজের ওপরে হামলার বিভৎসতা দেখে সাধারণ মানুষ হতবাক হয়ে যায়। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা হাসপাতালে হাফিজের হামলার বিভৎসতা দেখে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। হাফিজের ওপর হামলার ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং -২৪। তারিখ ১৬/০৭/২০২৩। কাউন্সিলর শাহিন সহ ১৩ জন এই মামলার এজাহার নামীয় আসামী। মামলা হলেও মূল আসামী শাহিন সহ অন্যান্য আসামীদের প্রকাশ্যে শহরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম খান নিখিল, কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম স্বপন হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবী করেন।