চট্টগ্রাম ইপিজেড থানা পুলিশ কর্তৃক ক্লুলেস খুনের মামলার আসল রহস্য উদঘাটন

মোঃ শহিদুল ইসলাম সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩০৪ বার পঠিত

চট্টগ্রাম ইপিজেড থানা পুলিশ কর্তৃক ক্লুলেস খুনের মামলার আসল রহস্য উদঘাটন করে ০৬ ঘন্টার মধ্যে আসামী গ্রেফতার মোঃ শহিদুল ইসলাম সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ ইপিজেড থানা এলাকার নিউমুরিং তক্তারপুল,আজিজশাহ রোড,মাবিয়া ভিলার মৃত্যুর ঘটনার বাঁদী মোঃ আজমের বড় বোন শামীমা আক্তার (৪৫) এর মৃত্যুর রহস্য উন্মোচিত হয়েছে আজ।

 

গত ১১/০৯/২০২২ইং তারিখ রাত ১২.০৫ ঘটিকার পর হইতে সকাল অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার মধ্যবর্তী যেকোন সময় ইপিজেড থানাধীন নিউমুরিং তক্তারপুল, আজিজশাহ রোড, মাবিয়া ভিলা, ৫ম তলা, ৭নং রুমে ঢুকে অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন আসামী বাদী মোঃ আজমের বড় বোন শামীমা আক্তার (৪৫) কে হাত-পা, মুখ কাপড় ও ওড়না দিয়া বাঁধিয়া খাটের উপর ফেলিয়া মুখে কিলঘুষি মারিয়া নীলাফুলা জখম করতঃ শ্বাসরোধ করিয়া হত্যা করিয়া বাদীর বোনের কানে থাকা স্বর্ণের ০২টি দুল ও বাসায় থাকা আরো স্বর্ণের ০২টি দুল, ০২টি স্বর্ণের আংটি, সর্বমোট ১২ আনা স্বর্ণ, মূল্য অনুমান ৫০,০০০/-টাকা এবং বাদীর বোনের ব্যবহৃত একটি OPPO মোবাইল, মূল্য অনুমান ১৫,০০০/- নিয়া চলে যায়

 

 

 

থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে এজাহার দায়ের করিলে ইপিজেড থানা মামলা নং-১৬, তারিখ-১১/০৯/২০২২ইং, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। উক্ত ঘটনায় তাৎক্ষনিক সংবাদের ভিতিত্তে অফিসার ইনচার্জ সহ থানার সঙ্গীয় অফিসার ও মোবাইল টিম তাৎক্ষনিকভাবে উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মহোদয় সার্বিক দিক নির্দেশনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) ও অফিসার ইনচার্জদ্বয়ের নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ ঘটনাস্থল ইপিজেড থানাধীন নিউমুরিং তক্তারপুল, আজিজশাহ রোড, মাবিয়া ভিলা, ৫ম তলা, ৭নং রুমে উপস্থিত হইয়া ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় ও স্থানীয় প্রাথমিক তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার মাত্র ০৬ ঘন্টার মধ্যে মামলার ঘটনা সংক্রান্তে মূল আসামী মোঃ কিবরিয়া প্রকাশ জাফর (২৮), পিতা-মৃত রিজিয়া বেগম, সাং-পশ্চিম কদুর খিল, সিকদার বাড়ী, ২নং ওয়ার্ড, বোয়াল খালী, পৌরসভা, থানা-বোয়ালখালী, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে- নিউমুরিং, তক্তারপোল, আজিজশাহ, মাবিয়া ভিলা, ৫ম তলা, ০৮নং রুম, থানা-ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করা হয়।

 

 

 

 

উক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ কিবরিয়া প্রকাশ জাফর (২৮)’কে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং সে ঘটনাস্থল রুমের পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে বলিয়া জানায়। আসামী মোঃ কিবরিয়া প্রকাশ জাফর (২৮) আরো জানায় যে, সে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছলতার কারনে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গভীর রাতে ভিকটিমের রুমের দরজায় নক করে ভিকটিমকে ডাক দেয়। আসামী পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া ও কন্ঠ পরিচিত হওয়ায় ভিকটিম রুমের দরজা খুলে দিলে আসামী ভিকটিমকে ঝাপটিয়ে ধরে মুখ চেপে ধারার চেষ্টা করে। ভিকটিমের সহিত আসামীর ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আসামীর শাহাদত আগুলে ভিকটিম কামড় দিলে আসামী ভিকটিমকে মুখ চেপে ধরে খাটের উপর ফেলে দিয়ে কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

 

 

 

পরবর্তীতে ভিকটিমের ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার ও মোবাইল নিয়ে আসামী রুম থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে তাহার প্রদত্ত স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাহার হেফাজত হইতে বাহির করিয়া দেওয়া মতে ইপিজেড থানা পুলিশ কর্তৃক ভিকটিম শামীমা আক্তার এর ব্যবহৃত ০৩টি স্বর্ণের দুল, ০২টি স্বর্ণের আংটি ও একটি OPPO মোবাইল উদ্ধার করা হয়। উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর