কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হন রাশিদুল হক। তার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রাশিদুল রাজধানীর শনির আখড়ায় একটি গার্মেন্টসের কর্মী ছিলেন। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গুলিতে নিহত হন।
১৬ আগস্ট (শুক্রবার) জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের চর কাটগিরি গ্রামে রাশিদুলের বাড়িতে খোঁজখবর নিতে ও আর্থিক সহযোগিতার আসেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম। এ সময় তিনি নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং কবর জিয়ারত করে তার বাবার কাছে এক লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেন।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, এতদিন বাংলাদেশের মানুষ অবরুদ্ধ ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে দেশ আজ মুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা ছিল না, বাক-স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। ছাত্ররা স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে, জালিমের বিরুদ্ধে কঠিন শব্দ উচ্চারণ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই আওয়াজ চলে আসে রংপুরে। রংপুরে সিংহের মতো লাঠি হাতে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহসী যুবক আবু সাঈদ।
তিনি আরও বলেন, আবু সাঈদের কারণেই রংপুর আজ শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের কাছে গর্বিত। বাংলাদেশ এবং রংপুর বিশ্বের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আজকে কুড়িগ্রামের রাশিদুল বাবা এক রাশিদুলকে হারিয়েছে ঠিকই, কিন্তু হাজারো রাশিদুল জন্মগ্রহণ করেছে। শহীদ রাশেদুল শুধু কুড়িগ্রামের সন্তান নয়, সে বাংলাদেশের বীর সন্তান। শহীদ রাশেদুলের জীবনের বিনিময়ে এ দেশের মানুষ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা নিজাম উদ্দিন, জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি শাহজালাল সবুজ, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আলী সরকার ,জেলা প্রচার সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য জহুরুল ইসলাম, নাগেশ্বরী উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল মান্নান ও সেক্রেটারি মাওলানা শহিদুল ইসলামসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতারা।