বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন তা সকলেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে গাছের কাঠ দিয়ে অবৈধ টিনের চিমনি ১২০ ফিট উচ্চতা বিশিষ্ট ড্রাম চিমনির ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ২০০২ সালের আইন অনুযায়ী তৈরিকৃত ইটভাটা গুলোকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঐসকল ড্রাম চিমনি ইটভাটা গুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তর গত ২২ সে আগস্ট ২০২১ তারিখের স্মারক ২২.০২.৪০৫০.৩০০.২৭.২১৩.২১.৫২১ মতে সকল ইটভাটা মালিকদেরকে পত্র প্রেরণ করেছে সেই সাথে জিগজ্যাগ ইটভাটা মালিকদেরকেও পত্র প্রেরণ করেন মর্মে যে জনবহুল এলাকার বাইরে ৪৫০ মিটার দূরত্বে ভাটা স্থাপনের নির্দেশ দেন। অবৈধ ঐ সকল ড্রাম চিমনির মাধ্যমে কাঠ ব্যবহার করে একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট হচ্ছে তদ্রূপ ভাবে অবৈধ ইটভাটা চলতে থাকলে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ এক সময় ঝড় বন্যা ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে বিলীন হয়ে যেতে পারে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ২০০২ সালের নিষিদ্ধ আইন অমান্য করে এখনো ড্রাম চিমনি ও ১২০ ফিট স্থায়ী চিমনির ইটভাটা তৈরি করে ব্যবসা করে আসছে।
যার ফলে বন উজাড় হচ্ছে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে এর থেকে পরিত্রাণ পেতে সকল ড্রাম চিমনি বন্দের জন্য সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জিগজ্যাগ ইটভাটা মালিক সমিতি। জিগজ্যাগ ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম রিপন প্রতিবেদককে জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনার সোনার বাংলাদেশ গড়তে তিনি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন আমরা তাকে সাধুবাদ জানাই। তারা আরো বলেন, ২০১৩ সালের সংশোধিত আইনকে সম্মান প্রদর্শন করে আমরা ঐসকল ড্রাম চিমনি ভাটা গুড়িয়ে দিয়ে জিগজ্যাগ ভাটা স্থাপন করি।
কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তারা ওই ২০০২ সালের সনাতন পদ্ধতি মতে ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত আমাদের প্রায় ৫০টি পরিবেশবান্ধব জিগজ্যাগ ইটভাটা স্থাপন করে কয়লা ব্যবহার করে ব্যবসা করে আসছি। কয়লা ব্যবহারের ফলে কোন প্রকার পরিবেশ দূষণ হচ্ছে না।
কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের পত্রে লিখা আছে জনবহুল এলাকা থেকে ৪৫০ মিটার দূরত্বে জিগজ্যাগ ভাটা স্থাপন করার নির্দেশনা দিয়েছেন। ইতিমধ্যে আমরা সকলেই কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে পরিবেশবান্ধব জিগজ্যাগ স্থাপন করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে আমাদের পক্ষে ৪৫০ মিটার দূরত্বে ভাটা স্থাপন করা সম্ভব নয়। কারণ সে ধরনের জায়গাও নেই অন্যদিকে প্রতিটা ভাটার পিছনে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। সেইসাথে সরকারের নিয়ম নীতি মেনে সরকারি তফসিলি ব্যাংকে প্রতিবছর লাইসেন্স পি দিয়ে নবায়ন করে আসছি। ইতিমধ্যে আমরা ওই সকল অবৈধ ড্রাম চিমনির ইটভাটা বন্দের জন্য পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে আবেদন করেছি ওই সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধের জন্য।