তিস্তার ভাঙ্গনে বিলিন হতে চলেছে গুচ্ছগ্রামের আট পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০
  • ৬৫০ বার পঠিত

 

বর্ষার শুরুতেই রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তাার ভাঙ্গনে শংকরদহ গুচ্ছ গ্রামের ৮ পরিবারের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

জানা যায়,ভারী বর্ষন আর উজানী ঢলে হঠাৎ কওে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে শংকরদহ গুচ্ছগ্রামে। গত ২ দিনে দুই পরিবারসহ গুচ্ছগ্রামের ৮ পরিবারের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার্থে লোকজন বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে। গুচ্ছগ্রামে আশ্রিত লোকজনের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। গত ২ দিনে গুচ্ছ গ্রামের লাভলু ও মানিকসহ আবুল হোসেন, ছকবুদ্দি, করিম, শরিফুল , আমিনুর ও জোনাব বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যšত ৩১ জনের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। বাকি রয়েছে আর ২৯ পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২ বছর আগে গুচ্ছগ্রাম থেকে তিস্তার ভাঙ্গন ছিল দেড় কিলোমিটার দুরে। কিন্তু গত ২ বছরে ভাঙ্গন এসে ঠেকেছে শংকরদহ গুচ্ছগ্রামে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প-২ (সিভিআরপি) এর আওতায় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরেদেড় কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নে শংকরদহ গুচ্ছ গ্রামটি নির্মান করাহয়। ২০১৮ সালে ৩০ পরিবারকে ঘরবরাদ্দ দেওয়া হয়। গত বছর আরো ৩০ পরিবারকে ঘর বরাদ্দ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। এরই মাঝে তিস্তার ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পথে গুচ্ছ গ্রামটি।

সরেজমিনে গুচ্ছগ্রামে গিয়ে দেখা যায় লোকজন ভাঙ্গন থেকে রক্ষার্থে জোনাব আলী বাড়িঘর ,আসবাবাপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। লোকজনের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। অনেক আশা করে এখানে আশ্রয় নিলেও সে আশ্রয়ও ভেঙ্গে যাচ্ছে। শংকরদহ এলাকার ইউপি সদস্য মোন্নাফ মিয়া বলেন , এ বছরবর্ষার শুরুতেই ৮ পরিবারের বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। এ পর্যšত ৩১ পরিবারের বাড়িঘর তিস্তায় বিলীন হয়েছে।

লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, এই মুহুর্তে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে গুচ্ছগ্রামটি সম্পুর্নরুপে তিস্তায় বিলীন হয়ে যাবে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, শংকরদহ এলাকার ভাঙ্গন রোধে একটি প্রকল্প দেওয়া আছে। প্রকল্পটি পাশ হলে কাজ করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর