কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজারে গত ১২ তারিখ শনিবার বিকেলে আফসানার নিজ বাড়ির ছাদে জয় ও আফসানা ওয়েলনেস বা ইয়োগা সেন্টারের উদ্বোধন করেন। উক্ত সেন্টার উদ্বোধনের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন জয় নেহাল। সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখ্য আলোচক আফসানা বেগম তিনি নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসএবিলিটিজ এডিডি প্রোটেকশন অফ সোশ্যাল অয়েল ফেয়ার স্কুল এর প্রধান শিক্ষক। তারই সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনুপ কুমার নন্দী (পিপি)। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ইয়োগা হলো একটি যোগ ব্যায়াম। এই ইয়োগা কবে কখন কোথায় কত সালে উৎপত্তি হয়েছিল সেটা আমার জানা নেই। শত শত বছর আগে থেকেই এই যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মানুষের জীবন বাঁচিয়ে তুলেছেন এই ইয়োগার মাধ্যমে। তবে ইয়োগার মাধ্যমে একটি মানুষকে দ্রুত সুস্থ করে তোলা যায় অতি সহজেই। যখন মেডিকেল সাইন্স ছিলনা তার পূর্ব থেকেই এই ইয়োগার প্রচলন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছিল, কিন্তু বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ইয়োগা বা যোগ ব্যায়ামের কোনেও সেন্টার এখনো গড়ে ওঠে নাই। তিনি আরো বলেন আফসানার মত একটি মেয়ে তিনি আমাদের দেশের একজন গর্বিত নারী। এই সর্বপ্রথম বাংলাদেশের মধ্যে কুষ্টিয়ার মাটিতে ইয়োগা বা যোগ ব্যায়ামের সেন্টারের উদ্বোধন করলেন।
আমি কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে। জয় নেহাল ও আফসানার যৌথ উদ্যোগে যে ইয়োগা প্রতিষ্ঠানটি আজ গড়ে উঠলো এটা দেশের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে আমি এটাকে জাতীয় পর্যায়ে আনার ব্যবস্থা করব এবং এর সার্বিক নেতৃত্বে থাকবেন আফসানা। তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনারা আফসানার পাশে থাকবেন, সেন্টারটি চালু করেছে শুধু তার নিজের জন্য নয়। সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদেরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আমি আশা করি আপনারা তার পাশে দাঁড়াবেন নইলে সে ভেঙে পড়বে। আমি সার্বিকভাবে তার সর্ব প্রকার নৈতিক সাপোর্ট দেয়ার দায়িত্ব পালন করে যাব জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সান আপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কাজী শামসুন নাহার আলো, উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন করোনাকালীন ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা আরিফুর রহমান কিশোর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোসাদ্দেক আলী মনি, এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কে এম শাহীন রেজা ও প্রেম অধিকারী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আফসানা বলেন, ইয়োগা প্রাণায়াম হল শ্বাস নিয়ন্ত্রণের অনুশীলন। এটি রোগ রোগ প্রতিরোধের একটি কার্যকরী উপাদান। শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য একটি অনুশীলন। আমরা জানি যে, প্রাণ অর্থ জীবনশক্তি এবং ইয়াম অর্থ নিয়ন্ত্রণ। এছাড়া তিনি আরও বলেন, যোগ হলো এক জীবন দর্শন, যোগ হলো আত্মা-নুশাসন, যোগ হলো এক জীবন পদ্ধতি, যোগ হলো আত্মা এবং সমাধিযুক্ত জীবনের সংকল্পনা। যোগ, ব্যক্তিত্বকে সামান্য থেকে অসামান্য বা সমগ্ররূপে নিজেকে রূপান্তরিত ও বিকাশিত করার এক অদ্ভুতপূর্ব রূপ। আসলে আমাদের সকলের জানা দরকার যে, যোগই “ইয়োগা” অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে যে, প্রাণ অর্থ জীবন শক্তি এবং ইয়াম অর্থ নিয়ন্ত্রণ। সর্বশেষ তিনি বলেন ইয়োগা প্র্যাকটিস এ আমরা আমাদের এক সম্পূর্ণ বিজ্ঞানের মত দেখা উচিত। অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে পরিচালনায় ছিলেন, জয় নেহাল মানবিক ইউনিটের কর্ণধর বিশিষ্ট সমাজসেবক আবুল কালাম আজাদ ও সকল সদস্যবৃন্দ।