নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার প্রাসাদ পুর গ্রামে মৃতঃ ভবশংকরের পুত্র শ্রী সত্যেন সরকারকে ক্রয় সুত্রে ও মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের মাধ্যমে পাওয়া হক দখলিও ৭৩.৫ শতাংশ সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন। দখলের চেষ্টা কারীরা একই গ্রামের মৃতঃ মোনা চন্দ্রের পুত্র শ্রীঃ কার্তিক চন্দ্র(৫৮), কার্তিকের পুত্র শ্রীঃ কল্যান চন্দ্র (২৬), কন্যা শ্রীমতীঃ সাথী রানী(২৮),বৃষ্টি রানী(২০) ও স্ত্রীঃ নমিতা রানী(৫৫)।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সত্যেনের ৭৩.৫ শতাংশ জমি, মহামান্য হাইকোর্টের প্রেক্ষিতে নওগাঁ কোর্ট সত্যেন সহ মোট ৩৯ জনকে দখল বুঝিয়ে দেয়।
সকল কাগজপত্র থাকার পরও তাকে উল্লেখিত প্রতিপক্ষ গন নারী-শিশু, ধর্ষনের মামলা সহ চুরি,ছিনতাই,বাড়ি ঘর ভাংচুর ও ডাকাতির মিথ্যা মামলা দিয়ে তার সম্পত্তি জবর দখল করার চেষ্টা করছে।
জানা গেছে,এই জমিকে কেন্দ্র করে সত্যেনকে মার্ডার মামলা সহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ইতিপূর্বেই ফাঁসিয়ে ২৫ বৎসর জেল খাটিয়েছে।
সে যখন হাজতে থাকে ঐ সুযোগে তার জমি গুলো জবর দখল করেছিলো।
এরপর সত্যেন জেল হাজত থেকেই জেলাপ্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করিলে,, পুলিশ সুপার নওগাঁ তদন্ত করে গত ১১/০৬/১৯৯৭ ইংরেজি তারিখে একটি প্রতিবেদন দেন।
প্রতিবেদনে বলাহয়,, কার্তিক চন্দ্র সরকার একজোট হইয়া সুপরিকল্পিত ভাবে দরখাস্তকারিকে তার সত্বদখলীয়
৬ বিঘা তফসিল ভুক্ত জমি হইতে বেআইনী ভাবে উচ্ছেদ করে। অদ্য বদি অন্যায় ভাবে ভোগদখল করিয়া আসিতেছে।
সত্যেন মামলা থেকে নির্দোষী খালাস পেয়ে এসে সেই জমিগুলোতে ফসল করিলে, তার বিবাদীরা রাতের আঁধারে প্রতিবারই ফসলগুলো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে নষ্ট করে দেয়।
এরপর গত ২৭/০৩/২০২২ ইংরেজি তারিখে ১৩০ টা কলা গাছ সহ অন্যান্য গাছ কেটে ফেলে দেয়।
গাছ গুলো কেটে ফেলার সময় সত্যেন তাদেরকে দেখে চিনতে পারে এবং চিল্লাচিল্লি করতে লাগলে স্থানীয়রা আসার আগেই সকল গাছ গুলো কেটে ফেলে দেয়। এ নিয়ে সত্যেন মান্দা থানায়, লিখিত অভিযোগ করেও কোন ফল পায় না। বরং সে আরো নির্যাতনের শিকার হন।
অসহায় সত্যেন নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রিন্ট মিডিয়ার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিদের দারস্থ হয়ে বিষয় গুলো জানান।
এ বিষয় গুলো জেনে মিডিয়া কর্মীরা,
মৃতঃ মোনা চন্দ্রের পুত্র শ্রীঃ কার্তিক চন্দ্র(৫৮), কার্তিকের পুত্র শ্রীঃ কল্যান চন্দ্র (২৬), কন্যা শ্রীমতীঃ সাথী রানী(২৮),বৃষ্টি রানী(২০) ও স্ত্রীঃ নমিতা রানী(৫৫)দের,,
বাড়ীতে গেলে সেখানে তাদেরকে জিজ্ঞেসা করিলে, তারা উত্তর না দিয়ে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন বড় বড় নেতা ও লোকদের সাথে কথা বলে, সাংবাদিকদের ভয় ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে।
সাথী রানী,
মোবাইল ফোনে অপর প্রান্ত থেকে বিভিন্ন অফিসের বড় বড় কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে, সাংবাদিকদের এ বিষয় নিয়ে নারাচারা করতে নিষেধ করে।
এর মধ্যে একজন মহিলা কন্ঠে নির্বাচন অফিসের প্রধান কার্যালয়ে কর্ম করত পরিচয় দিয়ে এই বিষয় গুলো নিয়ে লিখালিখি করতে নিষেধ করে। এবং উপজেলা ও জেলার কিছু সাংবাদিকদের নাম করে বলেন,তাদের কাছ থেকে আমার বিস্তারিত জেনে নেবেন বলে ফোন কেটে দেন। কিন্তু জমা-জমির বিষয়ে তারা কোন কিছু বলতে নারাজ।
এ বিষয়ে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহীনুর ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাদী-বিবাদী দুপক্ষরই একাধিক মামলা কোর্টে চলমান। জমি সংক্লান্ত বিষয়ে গুলো সাধারণত কোর্টেই হয়ে থাকে। যদি কোন পক্ষ লিখিতভাবে অভিযোগ করে,তাহলে বিষয়টি আমরা আইনগত ভাবে দেখবে বলে জানান।