করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ভয়াবহ সংক্রমণের মুখে দেশব্যাপী লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেও নওগাঁয় কুরবানির পশুর হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এসব হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করায় সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে লকডাউনে গরুর হাট বসিয়ে সরকারি নির্ধারিত টোলের চেয় বাড়তি অর্থ আদায় করা হচ্ছে হাটগুলোতে। এসব হাটে প্রশাসনের একাধিক টিম থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানা ও অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে নজর নেই তাদের।
লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রশাসনের প্রচার-প্রচারণা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকলেও আজ (শুক্রবার) নওগাঁর মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়ায় বসেছে পশুর হাট। এ হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা নেই। লকডাউনের মাঝে এটিই প্রথম বসা হাট হওয়ায় নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানসহ পার্শ্ববর্তী জেলা চাঁপায়নাবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে এসেছে হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা। জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে খোলা স্থানে হাট বসানোর অনুমতি দিলেও সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এই বিশাল হাটে পা ফেলার জায়গাটুকুও নেই। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাক্সও নেই।
অন্যদিকে লকডাউনে গরুর হাট বসায় হাটে ঢল নামা ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। গরুপ্রতি ৪০০ টাকা নেয়ার অনুমতি থাকলেও নেয়া হচ্ছে ৬৫০ টাকা। তার সাথে নেয়া হচ্ছে লেখনি ফি বাবদ ৩০ টাকা ও ঈদ বোনাস এর নামে আরও ৫০ টাকা। এসব বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বললে দায়সারা উত্তর দেন। কথা বলতে বলেন জেলা প্রশাসকের সাথে।
হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে হাট ইজারাদার আব্দুস সামাদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এই হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা কোন ভাবেই সম্ভব না। আর অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে বলেন এই হাট লাগাতে গিয়ে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে একটু টাকা বেশি না নিলে লোকশানে পড়তে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আব্দুল হালিম এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে কথা বলতে অস্বীকার করেন এবং জেলা প্রশাসনের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে বলেন। নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে হাট বসানোর মৌখিক অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে হাট বন্ধ করে দেয়া হবে।
সুবির দাস
নওগাঁ
০৯/০৭/২০২১