নওগাঁ মহাদেবপুরে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করায় বিপাকে মামলার বাদী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২
  • ৩০৭ বার পঠিত

 

নওগাঁর মহাদেবপুরে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন মামলার বাদী আরিফা বেগম (২৮) ও তার পরিবার।

গত বৃহস্পতিবার (২১জুলাই) রাত ৮টার সময় মহাদেবপুর উপজেলার পুরাতন হাসপালের পার্শে মৃত মোজাফ্ফ চৌধুরীর ছেলে আনোয়ারের ডাকে তার গরুর খামারে কাজ করতে গেলে, আরিফা বেগম (২৮)কে দু,জনের সহযোগীতায় মোয়াজ্জেম জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করিলে, আরিফা ডাক চিৎকার দিলে তার স্বামী সহ এলাকাবাসী এগিয়ে এসে মোয়াজ্জেমকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে গত ২৬ জুলাই ২০২২ইং তারিখে নওগাঁ কোর্টে ৩জনকে আসামী করে মামলা করেন। আদালতের বিজ্ঞবিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য মহাদেবপুর সদর চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করেন।

মামলার বাদীনি ও তার স্বামী জানান, আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা দায়ের করার তিন সপ্তাহ পার হতে চললেও স্থানীয় চেয়ারম্যান কোন প্রকার ব্যাবস্থা না নেওয়ায় আসামীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মামলা উঠিয়ে নিতে বাদীর পরিবারকে বিভিন্ন ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে হুমকী প্রদান করছে। মামলা উঠিয়ে না নিলে বাদীর পরিবারকে মারপিট, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া, উচ্ছেদসহ প্রাণনাশের হুমকী দেয়ার অভিযোগ করেছেন বাদীর পরিবার।

তারা অভিযোগ করেন, মামলার ৩নং আসামী মৃত মোজাফ্ফর রহমানের ছেলে ও জাহাঙ্গীরপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মোঃ আনোয়ার হোসেন বিভিন্ন সময়ে তার আদিয়ার (জমি বর্গা চাষী) কুঞ্জবন গ্রামের তোফাজ্জল মন্ডলের ছেলে আলম মন্ডল ও ঈদগাঁহ পাড়ার মৃত কছিমুদ্দীনের জামাই সুলতানকে দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকী-ধামকী প্রদান করে আসছে। আসামীরা যে কোন সময় তার আরো বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে ভয়ে সে নিজ বাড়ী (পুরাতন হাসপাতাল পাড়া) ছেড়ে কুঞ্জবন তার মায়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এতে করে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মামলার বাদী আরিফা বেগম ও তার পরিবার।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই রাত ৮ টার দিকে উপজেলা সদরের পুরাতন হাসপাতাল পাড়া গ্রামের সুমন হোসেনের স্ত্রী আরিফা বেগমকে ৩নং আসামী আনোয়ার হোসেনের গরুর খামারের ছোট খাট কাজ করে দেয়ার জন্য ডাক দেয় একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (২৬)। বাদীনি সরল মনে সেখানে গেলে আসামী মোয়াজ্জেম হোসেন দরজা বন্ধ করে তাকে ঝাপটায়ে ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে মোয়াজ্জেম হোসেন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাদীনির স্বামীসহ স্থানীয় লোকজন আসামী মোয়াজ্জেম হোসেনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একই গ্রামের মৃত ফাইম মন্ডলের ছেলে সেকেন্দার আলী এবং গরুর খামারের মালিক মামলার ৩নং আসামী মৃত মোজাফ্ফর রহমানের ছেলে ও জাহাঙ্গীরপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মোঃ আনোয়ার হোসেন কৌশলে আসামীকে ছাড়িয়ে নিয়ে আপোষ মিমাংশা করে দিবে বলে জানান। পরবর্তীতে তারা কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আরিফা বেগম বাদী হয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন, সকেন্দার আলী ও মোঃ আনোয়ার হোসেন সহ তিনজনকে আসামী করে গত ২৬ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের তিন সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও কোন সুরাহা হচ্ছেনা বরং বাদীনি পরিবারকে হুমকির মুখে রেখেছে আসামীরা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর