মহান বিজয় দিবস বাঙালীর জীবনে এক শ্রেষ্ঠ অর্জন। মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবময় অধ্যায়। তাই মহান বিজয় দিবস প্রতিটি বাঙালীর সামনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
মহান বিজয় দিবস আমাদের সত্য ও ন্যায়ের পথে লড়াই করতে অনুপ্রেরণা যোগায়। ৫২- এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে বীজ বপন হয়েছিলো, তা একাত্তরে শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে মহান স্বাধীনতার লক্ষ্যে সশস্ত্র লড়াই-সংগ্রামে রুপ নেয়। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ আর দুই লাখ মা- বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত মহান বিজয় দিবস আমাদের অহংকার।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরোচিত মুক্তিযুদ্ধ আমাদের এগিয়ে চলতে আজীবন অনুপ্রেরণা যোগাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের দেশকে আরো উন্নত ও সম্বৃদ্ধ করতে শক্তি যোগায়। একাত্তরের বিজয় সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষকে আজীবন পথ দেখাবে।
এমন মাহেন্দ্রক্ষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-কে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার, সফল রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। তিনি বলেছেন, “মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান”।
এছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বিদেশী বন্ধু, শহীদ পরিবার এবং যারা জাতির মহান বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন সবার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করছি। বিশেষ করে, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী এবং সেদেশের জনগণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণকে যেভাবে সহযোগিতা করেছে তা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে – সকল মত-পথ ও ভেদাভেদ ভুলে মহান বিজয় দিবসের চেতনায় সুখি, সম্বৃদ্ধশালী পল্লীবন্ধুর নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।