পাঁচ বছরের শিশু আয়াত নিখোঁজের ১০ দিন পর ছয় টুকরা দেহের সন্ধান পেল নদীতে পুলিশ

মোঃ শহিদুল ইসলাম সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৩০ বার পঠিত

 

সেই দিন ছিল মঙ্গলবার দাদার সাথে মক্তবের উদ্দেশে বের হয় পাঁচ বছরের মোছা. আয়াত। নাতনিকে মসজিদের উদ্দেশে পাঠিয়ে দোকানে যান দাদা। এর পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি অনেক খোঁজাখুঁজি করে। চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ পাঁচ বছর বয়সী আয়াতকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ছয় টুকরা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন গরিব দুঃখী মানুষের বিপদে আপদে পাশে থাকা সেই পুলিশ।

এ ঘটনার মূল নায়ক আবির আলী (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা।

জানা যায় আবির আলী নামের ছেলেটি ইপিজেডের তৈরি পোশাক শিল্প কারখানায় চাকুরী করত। সে আয়াতের দাদাবাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া। চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী সড়কে মায়ের সঙ্গে থাকে বলে জানা যায়।

নাঈমা সুলতানা বলেন, শিশু‘আয়াতকে অপহরণ করে তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আকমল আলী সড়ক থেকে আটক করা হয়। সে হত্যার কথা নিজ মুখে স্বীকার করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে সে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করে। খণ্ডিত মরদেহ দুটি ব্যাগে নিয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় নদীতে ফেলে দেয়। সেসব আমরা উদ্ধারের চেষ্টা করছি, তবে মরদেহ টুকরা করার কাজে ব্যবহার করা বঁটি ও অ্যান্টিকাটার সহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।’

সন্তানকে না পেয়ে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন শিশুটির বাবা সোহেল রানা, মা তামান্না খাতুন ও তাঁর আত্মীয়-স্বজন,বন্ধুবান্ধব,সহ সকলে থানা-পুলিশ ও হাসপাতাল ঘুরছেন। এলাকায় মাইকিং ও পোস্টার লাগানো হয়েছে। আয়াতের সন্ধান দিলে পুরস্কারের ঘোষণাও দিয়েছিল তার পরিবার।

এর আগে গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা।

ইপিজেড থানার ওসি আব্দুল করিম জানান, বাসা থেকে বের হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে শিশুটি নিখোঁজ হয়েছেন বড় মর্মান্তিক বিষয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর