ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হ’ত্যা মা’মলায় সোনাগাজী ইস’লামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ আ’সামিরই ফাঁ’সির আদেশ দিয়েছেন আ’দালত। তবে এদের মধ্যে উচ্চ আ’দালত বিশেষভাবে বিবেচনা করলে দু-একজনের সাজা কম হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তাদের মধ্যে নুসরাতের সহপাঠী ও হ’ত্যাকা’ণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত মনির নাম রয়েছে।রাজধানীর গুলশানে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান নুসরাত জাহান রাফির ১৬ জনের সবার ফাঁ’সির রায় উচ্চ আ’দালতে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেনদেশের আইনে যেটা বলে, এ রকম হ’ত্যাকা’ণ্ডে সবচেয়ে আগে ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের কথা চিন্তা করতে হবে। যদি কোনো ‘মিটিগেটিং সারকামস্ট্যান্সেস’ থাকে তাহলে যাব’জ্জীবনের কথা চিন্তা করা হয়।রাফি হ’ত্যা মা’মলার রায় উচ্চ আ’দালতে বহাল থাকবে কিনা সেই বিষয়ে তিনি বলেন, আমা’র মনে হয় দু’একজন বাদে সবার রায়ই বহাল রাখবেন হাইকোর্ট। তাছাড়া এ মা’মলায় ১২ জন দোষ স্বীকার করেছে, ৯২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
দু’একজন নারী রয়েছে, তাদের মধ্যে একজনের বাচ্চাও রয়েছে। উচ্চ আ’দালত বিশেষভাবে বিবেচনা করলে তাদের সাজা কম হতেই পারে।প্রসঙ্গত, সোনাগাজী ইস’লামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে যৌ’ন হয়’রানি করেন।
এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মা’র্চ সোনাগাজী থানায় মা’মলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রে’ফতার করে পু’লিশ। পরে মা’মলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে রাফির পরিবারকে হুমকি দেয়া হয়।৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে ওই মাদ্রাসার কেন্দ্রে যায় রাফি।
এ সময় বোরকা পরিহিত কয়েকজন তাকে পাশের বহুতল ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষের বি’রুদ্ধে মা’মলা তুলে নিতে চাপ দেয়। রাজি না হলে রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আ’গুন দেয় তারা।এতে রাফির পুরো শরীর দ’গ্ধ হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাস*পাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মা’রা যায়।
এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই বাদী হয়ে ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মা’মলা করেন।রাফি হ’ত্যা মা’মলায় পু’লিশ ও পু’লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ২১ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রে’ফতার করে। পরে ২৯ মে ১৬ জনকে আ’সামি করে ৮০৮ পৃষ্ঠার অ’ভিযোগপত্র দাখিল করে পিবিআই।
চার্জশিটভুক্ত ১৬ আ’সামির মধ্যে ১২ জন আ’দালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি দিয়েছে।৩০ মে মা’মলা’টি ফেনীর নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
১০ জুন আ’দালত মা’মলা’টি আমলে নিলে শুনানি শুরু হয়। ২০ জুন অ’ভিযুক্ত ১৬ জনের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ গঠন করেন বিচারিক আ’দালত।
২৭ ও ৩০ জুন মা’মলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমানকে জেরার মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর ৯২ সাক্ষীর মধ্যে ৮৭ জন সাক্ষ্য দেন আ’দালতে।