ব্লাঙ্ক চেক স্ট্যাম্প জালিয়াতি ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

মোঃ শহিদুল ইসলাম সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৪৩ বার পঠিত

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে ব্লাঙ্ক চেক ও স্ট্যাম্প জালিয়াতি ও মিথ্যা মামলায় হয়রানি সহ প্রাননাশের হুমকির প্রতিবাদে ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১১টার সময় সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী মারজানা আক্তার ইজাজ উদ্দিন রাকিব,ইসরাত জাহান,নুসরাত জাহান,ইসমত জাহান,আমেনা বেগম,পারভিন আক্তার সহ ভোক্তভোগী পরিবার। এসময় সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার মারজানা আক্তার,লিখিত বক্তব্যে বলেন, ব্লাঙ্ক চেক নিয়ে মিথ্যা মামলা ও পুলিশ দিয়ে হয়রানি থেকে বাঁচতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমি মারজানা বেগম (৩৬) এনআইডি নং (2215678259215.) দীর্ঘদিন যাবৎ, চট্টগ্রাম ইপিজেড থানা এলাকায় বসবাস করিয়া আসিতেছি। বিগত তিন বছর পূর্বে পারুল আক্তার ও লুৎফা খানম নামের দুই জন মহিলার সাথে আমার পরিচয় হয়।

 

 

তাদের সাথে পরিচয়ের সুবাদে আমার পারিবারিক সমস্যার কারণে আমি পারুল বেগমের কাছ থেকে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা এবং আবারো দুই ধাপে ৩০ হাজার করে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছি। এতে পারুল বেগম থেকে সর্বমোট ১ লক্ষ দশ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। এবং লুৎফা খানমের কাছ থেকে, ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নেই যার গ্যারান্টি হিসেবে আমার ৫টি ব্লাঙ্ক চেকের পাতা ও ৯টি ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্প নেয়। আমি তাদের দুজনের টাকা পরিশোধ করা সত্বেও তারা আমাকে তাদের কাছে রাখা প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদি, চেকের পাতা ও ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্প ফিরত না দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি ও মামলা দিয়ে হয়রানি করতেছে। এবং আমি সময় মত সুদের টাকা সহ আসল টাকা পরিশোধ করেছি। যার অসংখ্য কল রেকর্ড সহ অনেক ডকুমেন্ট রয়েছে আমার কাছে। সুদের টাকার সূত্র ধরে আমার বাসায় পারুল বেগম ও লুৎফা খানম আসা যাওয়া করেন।

 

 

আমার ছেলে মেয়েদেরকে প্রাইভেট পড়াতেন। প্রায় সময় আমি বাসায় না থাকলে সরাসরি আমার বাসায় চলে আসতেন পারুল ও লুৎফা খানম তাদের মুল টার্গেট ছিলো হলো মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া। যার জন্য এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। চলতি বছরের গত ২ (মার্চ) ও ১৯ (মার্চ) ২০২২ইং তারিখে আমার বাসা থেকে ট্রাষ্ট ব্যাংক এর চেক বই হারিয়ে যায় হারিয়ে যাওয়া একাউন্ট নম্বর,০০২৯০২১৪০৫৪৬৪৪, চেক নম্বর ২৪৭১২৪১ থেকে ২৪৭১২৯০,, ইসলামি ব্যাংক লিঃ এর হিসাব নম্বর ১৫০১১২০০০৫০৫১,এবং চেক নম্বর ৩৪৫৯৩৬১ হতে,২৭৯৮৯২১,পযন্ত চেক সমূহ সাক্ষর বিহীন আমার অসর্তকর্তার কারণে হারিয়ে যায়।

 

 

উক্ত চেকবই এর কোন চেক আমি কোন ব্যক্তি বা কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট চুক্তি বা প্রদান করি নাই, চেক বই হারানোর বিষয়ে গত ২৪ (মার্চ) ইপিজেড থানায় একটি জিডি করি। জিডি নং ১১৭০,চেক বই হারানোর বিষয়ে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফোজদারি অভিযোগ মামলা দায়ের করি লুৎফা খানম ও জয়নাল আবেদীন এর বিরুদ্ধে। আমি চেক বই হারানোর বিষয়ে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে মামলা ও ইপিজেড থানায় লুৎফা খানম ও জয়নাল আবেদীন এর বিরুদ্ধে জিডি করেছিলাম বলেই, গত ১২ (মে ) লুৎফা খানম চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ১২ লক্ষ টাকার মামলা দায়ের করেন। লুৎফা খামন আরও আমাদের চেক স্ট্যাম্প (জয়নাল আবেদিন) নামক এক ব্যক্তিকে হস্তান্তর করে তাকে বাদী করে ২২ লক্ষ টাকার মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করেন।তার বেশ কিছু দিন আগে পারুল বেগম তিনিও আমার স্বামী ও আমার নামে ২৪ লক্ষ টাকার মামলা দায়ের করেন।

 

 

আরো দুটি মামলা রেডি করেছে আমার জানামতে। বর্তমানে একটি মালমার জামিনে আছেন আমার স্বামী ( মোঃ সাহাব উদ্দিন) এবং বর্তমানে দুটি মামলার ওয়ারেন্ট বের হয়েছে। এখন আমি আমার পরিবারের ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাদের ভয়ে কোথাও কিছু করতে পারছি না, পারুল ও লুৎফা খানম আমার বাসায় বিভিন্ন সময় পুলিশ পাঠিয়ে দেয় এবং বিভিন্ন লোকজন দিয়ে ভয়ভীতি ও জানে মারার হুমকি দিচ্ছে। পারুল এর স্বামী (হুমায়ন কবীর) নৌবাহিনীতে সিভিল ডেলিবেসিক এর লেবার এর কাজ করেন,এবং লুৎফা খানম এর স্বামী (আইয়ুব আলী) রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। এরা স্বামী স্ত্রী মিলে,আমার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য পায়তারা করছে। এছাড়াও তারা ঐ এলাকায় অসংখ্য লোকের সাথে প্রতারণা করে আসছে। তাই আমি নিরুপায় হয়ে লুৎফা ও পারুলের প্রতারণা থেকে বাঁচতে আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে সাংবাদিক ভাইদের স্বর্নাপর্ন হয়েছি, আপনারাদের মাধ্যমে প্রশাসন ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আপনারা আমার পরিবারটাকে রক্ষা করুন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর