মিরপুরে দোকানঘর নির্মাণের অর্থ আত্মসাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৫২৪ বার পঠিত

১লক্ষ টাকার নির্মাণকাজে সাড়ে ৩লক্ষ টাকা লোপাট!

গল্পটা এবার স্কুল মার্কেটের দোকান ঘর নির্মাণ নিয়ে। গল্পের মতো শোনালেও তা বাস্তব। প্রতিটি দোকানঘর নির্মাণে খরচ ১লক্ষ টাকা হলেও প্রতিটি দোকানঘর নির্মাণে ৩লক্ষ ৫০হাজার টাকা ব্যয় বেশি দেখানো হয়েছে।
যা প্রতিটি দোকান ঘর নির্মাণকাজে ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ বেশি দেখানো হয়েছে। তিনটি দোকান ঘর নির্মাণেই প্রায় ৭লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির সাবেক ম্যানেজিৎ কমিটির সভাপতি ও কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর আলীর বিরুদ্ধে। কথিত কয়েকজন ব্যক্তির
যোগসাজশে এই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মাজিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মার্কেটের ২৬,২৭ ও ২৮ নম্বর তিনটি দোকানঘর নির্মাণ কাজে। এদিকে দোকানঘর নির্মাণ কাজে অতিরিক্ত অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়ম দুর্নীতি করায় বিষয়টির সুস্থ তদন্ত চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক একরামুল হক।

জানা গেছে, প্রতিটি দোকান ঘরের জামানত ৩লক্ষ ৫০হাজার টাকা নেওয়া হলেও নির্মাণ কাজে কম টাকা খরচ করে ওই ফান্ডের সব টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে। তবে নির্মাণ কাজে কম টাকা খরচের বিষয়টি স্বীকার করেছেন ওই কাজের নির্মাণ শ্রমিক জহুরুল ইসলাম।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ এই নিউজের প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষণ রয়েছে। বিদ্যালয়ের
দোকান ঘর নির্মাণকাজে ম্যানেজিৎ কমিটির সভাপতি মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ করায়
ক্ষোভ-প্রকাশ বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও গ্রামবাসী।
অর্থ আত্মসাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেছেন তারা।

এ বিষয়ে মাজিহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হক বলেন,প্রতিটি দোকান ঘরের জামানত হিসেবে ৩লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। নির্মাণ কাজেই সব টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।

এ ব্যাপারে মাজিহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
ম্যানেজিৎ কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ওমর আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি।

মিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার বলেন,একজন ম্যানেজিৎ কমিটির সভাপতি এসব অনিয়ন ও অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেখানে পরিদর্শনে আমাকেও নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে কেউ আমাকে নিয়ে যাননি। পরে কি হয়েছে আমি কিছুই জানি না।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন,বিষয়টি তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর