মেহেরপুরের গাংনীতে একটি স্কুলের বাগানের নিলামকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার করমদী গ্রামে। করমদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আম-কাঠালের বাগান নিলামকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাকিবুল ইসলাম আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও স্কুলের বাগানের নিলাম চলছিল। হঠাৎ কয়েকজন ছেলে এসে নিলাম কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এসময় স্থানীয় লোকজনের সাথে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
করমদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ জানান, গত তিনদিন আগে স্কুলের বাগান নিলামের ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সকলের সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় ম্যানেজিং কমিটি ও গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে নিলাম কার্যক্রম চলছিল। নিলামে ৯ জন অংশগ্রহণ করেছিল। এ সময় মোসলেম উদ্দীন শাহের ছেলে আলমগীর হোসেন এসে বলে ম্যানেজিং কমিটির দুজন মহিলা সদস্য আসেনি। যার কারণে নিলাম স্থগিত করতে হবে। তার কথামতো স্কুলের দপ্তরিকে দিয়ে ওই দুইজন মহিলা সদস্য কে ডাকতে পাঠানো হয়। এরপর আলমগীর হোসেন অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করে। তার সাথে সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাকিবুল ইসলাম, আবু বক্করের ছেলে রাজু, আয়ুব আলীর ছেলে লিটন আলী, রিপন আলী নিলাম প্রক্রিয়াকে বানচাল করার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয় এবং তাদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
তিনি আরো বলেন, গত বছরেও ওই ছেলেগুলো নিলাম কাজে ঝামেলা করেছিল।
ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, নিলাম চলাকালীন সময়ে কিছু ছেলে হট্টগোল শুরু করলে স্থানীয় লোকজনের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
মোসলেম উদ্দীনের শাহের ছেলে আলম্গীর হোসেন বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সবাই নিলাম উপস্থিল ছিল না। তাই আমরা সুষ্ঠ ভাবে সকলের উপস্থিতিতে নিলাম করার দাবী জানলে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়।
গাংনী থানার এএসআই বিপ্লব হোসেন জানান, ওসি স্যারের নির্দেশে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। গ্রামবাসির উপস্থিতিতে সুষ্ঠ পরিবেশে বাগানের নিলাম চলছিল। এসময় ওই ছেলেগুলো গিয়ে উচ্চ বাচ্চ কথাবার্তা বলা শুরু করে। এতে গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয় এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আমি উভয় পক্ষকে শান্ত করি। আমি নিজেও তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। তারা ছোট হিসেবে ভদ্রতা বজায় রেখে কথা বলা উচিৎ ছিল।
গাংনী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।