রংপুর নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সার্জেন্টের বসত বাড়ি ভাংচুর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সোমবার (৪ এপ্রিল) থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী সেনা বাহিনীর সার্জেন্ট হারুত মিয়া। এর আগে গত শনিবার(২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গাফফার হোসেন ও মহিলা কাউন্সিলর লাকী বেগম এর নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে, ১৭ নং ওয়ার্ডের ভগিবালা পাড়ায় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ড্রেন তৈরি করার জন্য ৬ ফুট রাস্তা আছে। কিন্তু কাউন্সিলর ইচ্ছেকৃত ভাবে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ছাড়াই ১০ ফুট রাস্তা করার জন্য সার্জেন্ট হারুত মিয়ার শয়ন ঘর ভেঙে দিতে বলেন। বিষয়টি সার্জেন্ট হারুত মিয়া রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয়কে অবহিত করলে শয়ন ঘর ভাঙতে হবে না বলে জানান মেয়র । তারপর ভুক্তভোগী সেনা বাহিনীর সার্জেন্ট হারুত মিয়া কর্মস্থল কুমিল্লা সেনানিবাসে চলে যান। এরই মধ্যে গত ২/৪/২২ রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুই কাউন্সিলসহ ২০/৩০ জন ভুক্তভোগীর শয়ন ঘরের দেয়াল ভাঙে ফেলে। এ সময় ভুক্তভোগীর স্ত্রী ও সন্তান আঘাত প্রাপ্ত হলে তাদের সিএমএসই তে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ভুক্তভোগী পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগে জানানো হয়। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর লাকী বেগম সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে যোগাযোগ করেও রাস্তার জন্য জায়গা ছাড়েননি সার্জেন্ট হারুত মিয়া। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী সেদিন রাতে আলোচনায় বসে। এ সময় তার পরিবারের লোকজন আমাকে ধাক্কা দেয়। আমি চলে আসার পর স্থানীয় জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে সার্জেন্ট হারুত মিয়ার বাড়ি ভাংচুর করে।
অভিযুক্ত রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল গফফার মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক মজনু মিয়া বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।