রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক অপহরণকারী গ্রেফতার
মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, রংপুর প্রতিনিধি :
(ভিকটিম) নীলফামারী সদর থানার তরুনীবাড়ী উত্তর সীমান্ত পাড়া এলাকার সুকমার রায় (৫০)। তিনি পিতা পশুনাথ রায় এর বায়োপসি টেস্টের রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য গত ৮ আগস্ট রংপুরে আসেন। রিপোর্ট সংগ্রহ ও ডাক্তার দেখাতে প্রায় সন্ধ্যা হওয়ায় আর্থিক সমস্যার কারণে প্রতিবেশী ভাগীনা জগদিশ’কে ফোন করে কিছু টাকা চাইলে, সে তাকে মার্ডাণ মোড় রংপুরে যেতে বলে। তিনি পরশুরাম থানাধীন ধাপ কামারপাড়া মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে (পূর্ব পরিচিত) মোঃ তাহমিদুল ইসলামকে (২৫) সঙ্গে নিয়ে তাৎক্ষণিক মর্ডাণ মোড়ে চলে আসেন। এর পর রাত্রি ৯ টার দিকে মর্ডান মোড় থেকে ফেরার পথে ৪ জন ছেলে যাত্রীবেসে অটোতে উঠে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করার উদ্দেশ্যে তাদেরকে অপহরণ করে মধ্য গনেশপুর কাউন্সিলর অফিস হতে আনুমানিক ৫শ গজ উত্তরে পরিত্যাক্ত একটি টিন সেড বিল্ডিং বাড়ির ভিতরে নিয়ে সেখানে উপস্থিত আরো কয়েকজন মিলে তাদের মারপিট করে পকেটে থাকা টাকা এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে ওই অপহরণকারীরা তাদের বাড়িতে ফোন করে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে কিন্তু পরিবার থেকে শুধুমাত্র ১২ হাজার ৮শত টাকা পাঠায়। তাদের পরিবারের লোকজন আর কোন টাকা দিতে না পারায় ওই অপহরণকারীরা তাদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত নির্যাতন চালাতে থাকে এবং তাদের পরিবারকে চাপ দিতে থাকে । পরবর্তীতে ১০ আগস্ট রাত্রি ২টার দিকে তাদেরকে চেতনা নাশক ঔষুধ খাইয়ে পাশের একটি বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আরপিএমপি (গোয়েন্দা বিভাগ) উপ পুলিশ কমিশনার মোঃ মারুফ হোসেন এর নির্দেশে সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ আলতাফ হোসেন এর নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে কোতোয়ালি থানাধীন গনেশপুর ক্লাব মোড় এলাকার ময়নার ছেলে আসামী মোঃ আরজুনকে (২১) গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীসহ পলাতক ও অজ্ঞাতনামা ৯/১০ জন আসামীর বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় বাদী কর্তৃক মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান।