কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় তীব্র স্রোতে সোনাভরি নীদর ভাঙ্গনের ২ দিনের ব্যবধানে মোঃ রিশান আলীর বাড়ি সহ ৫টি বাড়ি বিলিন হয়ে গেছে। উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের উত্তর চাক্তাবাড়ি, কান্দাপাড়া, পালেরচর ও চর বাঘমারা গ্রামে সোনাভরি নদীর তীব্র স্রোতের কারনে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে ২ দিনের ব্যবধানে ৫টি বশতবাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ওই পরিবারগুলো ভূমিহীন ও গৃহহীন হয়ে পড়ছে। গত একমাসে নদীভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়েছে প্রায় ২০টি পরিবার ও প্রায় অর্ধশতাািধক একর ফসলি জমি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। সোনাভরি নদী ভাঙ্গনরোধের দাবীতে আজ বৃহস্পতিবার এক মানববন্ধন করেন এলাকাবাসি। মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। গত আগস্ট মাসে নদী ভাঙ্গনপ্রতিরোধের দাবী নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন এলাকাবাসি। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং নদী ভাঙ্গনরোধের জন্য ১২’শ জিও ব্যাগ দেওয়ার আশ্বাস দেন। একমাস অতিবাহিত হলেও নদীভাঙ্গনরোধে কার্যকরি কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো বর্তমানে ওই এলাকায় খোলা আকাশের নিচে জীবনের ঝুকি নিয়ে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
উত্তর চাক্তাবাড়ি গ্রামের শাহজাহান সিরাজ বলেন, চর বাঘমারা গ্রামের হলহলিয়া নদীর মুখে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করায় সোনাভরি নদীতে পানি প্রবেশ করে। ওই পানির তীব্র স্রোতের কারনে উত্তরচাক্তাবাড়িসহ ৪টি গ্রামে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরা গ্রামেই নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে ।
কান্দাপাড়া গ্রামের মরিয়ম বেগম বলেন, আমার বাড়িটি ভেঙ্গে গেছে। মন্ত্রী ও টিএনও আসছিল। ভাঙ্গনবন্ধ করতে বস্তা দেওয়ার কথা বলছে, কিন্ত আজও সেই জিও ব্যাগের খবর নাই । আমরা খুব কষ্টে আছি।
রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা রিলিফ চাই না, চাই নদীভাঙ্গনরোধ। আমার বাড়ি ও জমি নধীতে ভেঙ্গে যাওয়ায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে কষ্টে জীবন যাপন করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসন খান জানান, ভাঙ্গনের খবর পেয়ে ওই এলাকায় যাই এবং ক্ষতিগ্রস্থ পবিবারে জন্র কিছু শুকনা খাবার বিতরণ করি। পাশাপাশি ভাঙ্গনরোধের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তপক্ষের সাথে কথা বলবো যাতে জরুরীভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।