মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ড নিশিপুর গ্রামে বয়স্ক,বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নাম করে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে গ্রামপুলিশ(চৌকিদার) জাহিদুল ইসলাম ও জনৈক এনামুল হকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতিকালে ১২০ জন বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে জন প্রতি আড়াইশ থেকে ২ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয় তারা। কেউ যদি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে কলমের খোঁচা দিয়ে নাম কেটে দেওয়ার হুমকিও দেন তারা।
এ বিষয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। লিখিত অভিযোগের ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন দৃষ্যমান ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। অতি দরিদ্র, অসহায় ও দুস্থ মানুষের কাছ থেকে গ্রাম পুলিশ জাহিদুল ইসলাম ও জনৈক এনামুল হকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জঘন্য এই ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার পাইতারা চলছে বলে মন্তব্য করছে ভুক্তভোগীরা।
এদিকে গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, গ্রাম পুলিশ জাহিদুল ইসলাম ও জনৈক এনামুল হক রাতের আধারে গোপনে গোপনে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু ভুক্তভোগীরা টাকা না নিয়ে বিচারের দাবী জানিয়েছেন।
এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বামন্দী এলাকার সচেতন মহল ও এলাকাবাসী। সেই সাথে দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তারা। অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসীসহ ভুক্তভোগীরা।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী খানম জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব নিজেই দায়িত্ব নিয়েছেন এর সমাধান করার জন্য কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন প্রতিত্তোর পাইনি। তবে চেয়ারম্যান সাহেব ব্যবস্থা না নিলে গ্রাম পুলিশসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রসাশনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।