শহিদুল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আমাদের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের বাক-মতামত ও চিন্তার স্বাধীনতা। অনেক চক্রন্তার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র উদ্ধার হয়। শেখ হাসিনা একজন অনুকরনীয় নেতৃত্ব-খাদ্য নিরাপত্তা, শান্তি চুক্তি, সমুদ্র বিজয়, নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক উন্নতি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষায় সমুজ্জ্বল। তার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র এখন মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আরো বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের স্বাধীনতার ৪৮ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতার যে লক্ষ্য ছিলো তা আজো আমরা পুরোপুরি অর্জন করতে পারিনি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে একটি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১ সহ শতবছর মেয়াদী ব-দ্বীপ ২১০০ পরিকল্পনা নিয়েছেন।
‘এসব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আজকের শিক্ষিত তরুণরাই এ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’ আততায়ীর হাতে নিহত বাবা মা, খুনীর রক্তে রঞ্জিত তার ভাইয়েরা, শেখ হাসিনা আসলে শত্রুর আগুনের ছাই থেকে উঠে আসা এক মানুষ যিনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। সম্পাদনা : জেরিন. মাশফিক