হরিণাকুণ্ডুতে অন্তঃসত্ত্বা নারী সহ তিনজনকে মারধর,থানায় অভিযোগ 

হরিণাকুণ্ডু ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃবাচ্চু মিয়া
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩
  • ৯১ বার পঠিত

 

 

 

হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৩ জনকে বেধড়ক মারধর করার খবর পাওয়া গেছে। ফাকা স্ট্যম্পে জমি লিখে না দেওয়ায় ১১ আগষ্ট শুক্রবার উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের ভায়না গ্রামের  এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা ও তাদের স্বজনরা জানান মৃত রহিম বক্স এর ছেলে মাসুদের নেতৃত্বে ভাই তুহিন,হোসেন মুসুল্লির ছেলে ফজলু মুসুল্লি,তার ভাই আলম, মৃত বিষারত আলীর ছেলে জাফর আলী সহ কয়েকজন বসত বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে, এসময় মৃত্যু বজলুর রহমানের স্ত্রী শামসুন্নাহার,তার ছেলে ফারুক হোসেন ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শিল্পি খাতুন-কে ব্যাপক মারধর করে।
আহতরা বর্তমানে সকলে হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত ফারুক হোসেন ও তার মা শামসুন্নাহার বেগম সাংবাদিকদের জানান, সংসারের প্রয়োজনে আমরা প্রায় ৫ বছর পূর্বে ১৯ শতক জমি রহিম বক্স এর ছেলে নাসির উদ্দীনের নিকট বিক্রি করি এবং সেই সময় থেকে ঐ জমির দখলে রয়েছে তারা,আজ-অবধি রেজিস্ট্রী করে নেয়নি তারা,কথা ছিলো জমি বিক্রয় করলে আমাদেরকে দিতে হবে।
এর মাঝে নাসির উদ্দীন মারা যায়। এরপর তুহিন ও মাসুদুর রহমান জমি লিখে নিতে চাই।
এছাড়া মাসুদুর রহমান (সোনালী ব্যাংক, ঝাউদিয়া শাখার কর্মকর্তা) ও তার দলবল নিয়ে আমাকে ও আমার মা এবং আমার গর্ভবতী স্ত্রীকে বাশেঁর লাঠি দিয়ে ব্যাপক  মারধর করে এসময় জমি জোরপূর্বক লিখে নেওয়ার জন্য ফাঁকা স্টাম্পে আমাদের টিপসহি নেয়।
আহতদের ঝিনাইদ জেলা প্রসাশক, পুলিশ সুপার সহ হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা এর কাছে আবেদন,তদন্তপূর্বক ঘটনার ন্যায় বিচার সহ হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হউক।

ঘটনার সুত্রধরে অভিযুক্ত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকেন। বলেন সাংবাদিকদের আর কোনও কাজ নেই। গ্রামে ছাগল,গরু চুরি হচ্ছে সেসব নিউজ করার জুত নেই এখানে এসে হাজির। পুলিশে সহায়তা নেওয়ার কথা বলার বিপরিতে বলেন আপনাদের পুলিশ কি করে তা আমার জানা আছে। তাছাড়াও  তিনি সাফ জানিয়ে দেন সেই সময়ে আমরা ঐ জমি ২ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকায় কিনেছিলাম, কিন্তু রেজিষ্ট্রি করা হয়নি। জমি যখন দেবে না তখন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জমি আদায় করা হবে। কথাবার্তার একপর্যায়ে তাঁরা ঐ জমির টাকা ফেরত দিলে জমি ছেড়ে দেওয়ার কথাও স্বীকার করেন।

হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু আজিফ জানান, ঘটনাটি আমি জেনেছি। আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার ১২ আগষ্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর