ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে গরিবের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের পাঁইতারা চালিয়ে যাচ্ছেন এক প্রভাবশালী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ২ নং জোড়াদহ ইউনিয়নের (জোড়াদহ-হরিশপুর) খালপাড়ার বদর উদ্দীনের কন্যা স্বামী পরিতাক্তা কোহিনুর খাতুনের(৫২)। এঘটনায় বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঝিনাইদহে ২৩১৪ স্নারকে একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী। উপজেলার ৮ নং জোড়াদহ মৌজার ২২৯১ আর,এস খতিয়ানের, ৬৪৮৯ আর,এস দাগ নম্বারে ৩৬শতক জমির মধ্যে ২৬ শতক তন্মধ্যে ০৩(তিন) শতক জমি বিগত ৭/৮ মাস পূর্বে বিক্রয় করে মোঃ শরিফুল ইসলামের পুত্র শফিয়ার রহমান ওরফে শফি। ক্রয় সুত্রে কোহিনুর খাতুনের(৫২) আর,এস দাগ ৬৪৮৯ নম্বারে ৩৬ শতক জমির মধ্যে ২৬ শতক তন্মধ্যে ০৩ (তিন) শতক জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন তিনি।
সম্প্রতি অভিযুক্তরা ঐ জমির অবৈধ দখলের পাঁইতারা চালিয়েই খ্যান্ত হয় নি প্রতিনিয়ত দিচ্ছেন প্রাণনাশের হুমকী-ধামকী বলেও দাবী ঐ ভুক্তভোগী স্বামী পরিতাক্তা নারীর। তিনি আরও বলেন ওর ছেলে সামাদ যখন বিদেশে যায় তখন আমার কাছে ১লক্ষ ১০ হাজার টাকায় জমিটা বিক্রি করে। আমি রাস্তায় মাটি কেটে খায়। সেখান থেকে এবং হাঁসমুরগী বিক্রয় করে জমানো টাকা দিয়ে আমি এই জমিটা কিনেছিলাম। আমার টাকার জোর নেই তাই ঐলোক আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক এই জমি কেড়ে নিতে চাই। আমি একজন অসহায় নারী। আমি নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বামী পরিতাক্তা কোহিনুর খাতুন ঐ বসত ভিটা ক্রয় করে শফিয়ার রহমান ওরফে শফি এর নিকট হতে। ৭/৮ মাস ভোগ দখলের পরে সম্প্রতি আদালতের মাধ্যমে বাংলাদেশ জমিদারী দখল ও প্রজাস্বত্ব আইনে ৯৬ ধারা মতে (আমানতের) কারণ দর্শানোর নোটিশ করায় শফিয়ারের স্ত্রী নূরজাহান নেছা(৪৬)। ফারুক হোসেব ও জাহাঙ্গির আলম সহ এলাবাসী বলছে লোকটা আসলেই একটা বাজে লোক। তার ছেলে যখন বিদেশ যাচ্ছিলো তখন আমাদের কাছে কাকু-মাকু করে। তার এহেন পরিস্থিতিতে কোহিনুর খাতুনের নিকট থেকে আমরা এই টাকা নিয়ে জমিটা তার নকট বিক্রয় করে দিয়েছিলাম।
পেটে এখন ভাত পড়েছে তাই এখন আবার শফিয়ার ও তার স্ত্রী নূরজাহান দুজন মিলে, কোহিনুর খাতুনের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে,আমরা এর সঠিক বিচার চাই। এব্যাপারে অভিযুক্ত জোড়াদহ গ্রামের শফিয়ার ও তার স্ত্রী নূরজাহান নেছার সাথে কথা বলিলে তিনি মারধর ও জমি দখল পাঁইতারার বিষটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।বিজ্ঞ আদালতের নোটিশে মামলাটির তদন্তকারী হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই(নিঃ) মোঃ নাসির উদ্দীন বিশ্বাস, ১৭ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের সাথে স্বাক্ষাতকালে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিজ্ঞ আদালত ঐ জমিতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। আমি আদালতের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকেও বিষটি অবগত করেছি। জমিটা বিক্রয় করেছে শফিয়ার রহমান শফি। যেহেতু মামলাটি আদালতে চলমান আছে, তাই অসহায় স্বামী পরিতাক্তা ঐ কোহিনুর খাতুনকে আমাদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে কোনো সহায়তা দিতে সর্বদা প্রস্তুত আছি।