ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে স্বামীকে ঘুমের বড়ি খাওয়াইয়ে প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হয়েছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। যাওয়ার সময় নিয়ে গেছেন প্রবাসী স্বামীর কয়েক লাখ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ফলসি ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামে। প্রেমের টানে পালিয়ে যাওয়া গৃহবধূর নাম মুক্তা খাতুন,সে উপজেলার ফলসি ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামের প্রবাসী কাশেম আলীর স্ত্রী এবং একই উপজেলার জোড়াদহ ইউনিয়নের বেলতলা মন্ডলপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের মেয়ে।
জানা যায়, মুক্তা খাতুনের স্বামী বেশ কয়েক বছর ধরে প্রবাসে থাকতেন। গত কিছুদিন আগে তিনি বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন।
গৃহবধূ মুক্তা খাতুন এক সন্তানের জননী।বর্তমানে তিনি পরকিয়া প্রেমের টানে প্রেমিককে সাথে নিয়ে ৪ মার্চ দিবাগত রাতে থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পরকিয়া প্রেমিক সবুজ আলী (৩২) শড়াতলা গ্রামের বাসিন্দা। এলাকায় জনশ্রুতি আছে তিনি একজন পশু চিকিৎসক।তার পিতাও একজন গ্রাম্য ডাক্তার। উল্লেখ্য বিভিন্ন সুত্র জানায় এই প্রথম নয় এর আগেও গত ১৪ ফেব্রুয়ারী ভালোবাসা দিবসে পরকিয়ার টানে মুক্তা খাতুন অজানার পথে পাড়ি জমিয়েও অবশেষে বাড়ীতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
এ ঘটনা জঘন্যতম সামাজিক অপরাধ।এদের বিচার হওয়া উচিৎ বলে দাবী তোলেন,চারুমননেছা মাধমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ফজলুর রহমান
মুক্তা খাতুনের ছেলে ও শাশুড়ী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,শরবতের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে তার ছেলে কাশেমকে খাওয়ায়।পরবর্তীতে
কাশেম ঘুমুিয়ে গেলে অচেতন অবস্থা রাতের আধরে মুক্তা
পালিয়ে য়ায়।
প্রেমের টানে পালিয়ে যাওয়া গৃহবধূর মুক্তা খাতুন ও তার প্রেমিক পশু চিকিৎসক সবুজ আলী’র মোবাইল ফোনটি বন্ধকরে রাখায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পশু চিকিৎসক সবুজ আলী’এক সন্তানের জনক,স্ত্রী ও সন্তান ফেলেরেখে এধরনের জঘন্য অপরাধ কখনো ক্ষমা করা যায়না বলে এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করছে।
এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক বলে দাবী করেছেন উপজেলার ফলসী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য টুটুল হোসেন।
এদিকে হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশের এস আই গিয়াস উদ্দীন
সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,এব্যাপারে ৪ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখে থানায় একটি অভিযোগ করেছে ভূক্তভুগীর পরিবার।অভিযোগ পেয়ে আমরা ঐ এলাকায় সত্যতা যাচায়ে গিয়েছিলাম। পলাতক ছেলে ও মেয়ের উভয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
প্রবাসীর স্ত্রী ও পরকিয়া প্রেমিক গ্রাম্য পশু ডাক্তারকে খুজে বের করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।