বসত বাড়ি না কবরস্থানের কবর।
কথাটি কেমন যেন অবাক মনে হচ্ছে।কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শিতলী গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক হতভাগা সদর উদ্দীন।
জানা গেছে মৃত বাহার উদ্দীন এর ছেলে মোঃ সদর উদ্দীনের বসবাস দুই যুগের ও বেশী সময় পার করেছেন কবরের সঙ্গে।কবরের পাশেই চলে তাদের রান্না থেকে শুরু করে খাওয়া ঘুম।রাত যখন গভির,শেয়াল হাক দিলে থাকেনা তাদের দেহে তাদের প্রাণ।নিদারূন এ এক অদ্ভুত,অমানবিক হলেও এ রীতিই সত্য।ইসলামের বিধান অনুযায়ী মৃত্যুর পর একজন মুসলিমের লাশ কবরে দাফন করা হয়।জমির অভাব ও সামাজিক বৈষম্যের কারণেই দুই যুগ ধরে শিলা নিলা এবং ছেলে শিমুলকে নিয়ে কবরের ভিতরেই পেতেছেন সংসার।
স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে,প্রায় দুই যুগ পূর্বে শিতলী পশ্চিম পাড়া নামক স্থানে দেড় শতাংশ জমির উপরে বসতী শুরু করেন মৃত বাহার উদ্দীন এর ছেলে মোঃ সদর উদ্দীন।
তাহার পেশা ছিলো দিন মুজুরী,যেদিন মুজুরী না জুটেছে সেদিন তাদের কেটেছে কি নিদারূন অনাহারে।
দীর্ঘ দিন ধরে এই নিম্ন আয়ের মানুষ এক খণ্ড জমির অভাবে প্রিয় জনকে দাফন করেছেন কারও আঙ্গিনায়।যায়গা না থাকায় গাদাগাদি করে একই ঘরে দুই তিন জনের নিদ্রাযাপন করতে হয়।
এক সময়ে মানুষ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল, কিন্তু এই আধুনিক যুগে এসেও তাদের ভাগ্যের কোনও পরিবর্তন এনে দিতে পারে নি কোনও সুশিলজনে।অর্থনৈতিক দৈন্যদশার কারণে পাশ্ববর্তী স্থানে কোনও জমি ক্রয় করতে পারে নি তারা।
এব্যপারে কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মোঃ শরাফত দৌলা ঝন্টু সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।