ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ফরিদা খাতুন (৪৮) নামে এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রোববার উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ধুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফরিদা খাতুন ওই গ্রামের মৃত- মুরাদ আলী মন্ডলের মেয়ে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্তানীয়রা জানায়, নিহত ফরিদা খাতুন এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জননী। তবে তারা কেউ বাড়িতে থাকেন না। অনেক বছর আগে তার স্বামীও তাকে ছেড়ে চলে গেছে। তিনি একাই বাড়িতে বসবাস করেন। গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালন করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। রোববার দুপুরে নিহতের প্রতিবেশীরা তাকে না পেয়ে বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। এ সময় তিনি ঘরের দরজা না খোলায় তারা দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর প্রবেশ করেন। পরে ঘরের বিছানায় তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা স্থানীয়দের খবর দেন।
ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন জানান, নিহত ওই নারী একাই বাড়িতে থাকেন। রবিবার সকাল থেকে-ই তাকে কেউ দেখেনি। পরে দুপুরে তার পালিত গবাদিপশুর ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশি মহিলারা তার বসতঘরে গিয়ে মরদেহ দেখতে পায়। শনিবার রাতের কোন এক সময় তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। নিহতের গলা ও মুখে রক্ত লেগে আছে। ফলে এই মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, খবর পেয়ে নিহত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলা ও মুখে রক্ত আছে। এটি হত্যা না অন্যকিছু এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এই মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।