হরিণাকুন্ডুর ভাই ভাই ক্লিনিকে রোগীর মৃত্যু

মোঃ রাব্বুল ইসলাম হরিনাকুন্ডু প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১
  • ৫৯৭ বার পঠিত


ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা শহরের ভাই ভাই ক্লিনিকে আবারো আব্দুর রহিম লিটু (৪৮) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। লিটু দখলপুর গ্রামের সদর উদ্দীনের ছেলে। শুক্রবার বিকালে এ্যাপেন্ডিসাইটিস অপরেশনের জন্য অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করানো হলে স্বজনদের কাছে লিটুর মৃত লাশ ফেরৎ দেওয়া হয়।

অপারেশন করেন হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ আহসান হাবিব দিপু। পরীক্ষা নিরীক্ষা না করেই অপারেশন করার ফলে এই অকাল মৃত্যু বলে রোগীর স্বজনরা জানান। তবে ক্লিনিক মালিক আজমত ও আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন, অপারেশনের সময় টেবিলেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লিটুর মৃত্যু হয়। এর জন্য ক্লিনিক মালিক বা চিকিৎসক দায় নয়। রোগীর চাচা মিজানুর রহমান ওল্টু জানান, সুস্থ মানুষ ঢুকিয়ে আমাদেরকে মৃত মানুষ ফেরৎ দিল।

তাছাড়া ক্লিনিক মালিক সরাসরি লাশ গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছে। এদিকে লিটুর মৃত্যুর পর বিষয়টি নিয়ে আপোষ রফার জন্য দফায় দফায় দখলপুর গ্রামে শালিস বৈঠক হয়েছে। দেড় লাখ টাকায় বিষয়টি রফা হতে পারে বলে বৈঠক সুত্রে জানা গেছে। শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে মধ্যস্থতায় নিয়োজিত ক্লিনিক মালিকের ভাই আলতাফ হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, চিকিৎসক আহসান হাবিবসহ হরিণাকুন্ডু হাসপাতাল মোড়ের কুসুম ও মোয়াজ্জেম এখন দখলপুর গ্রামে রয়েছেন।

 

এদিকে রোগীর স্বজনরাও বিষয়টি নিয়ে আইন আদালত করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। তারা ক্লিনিক ও ডাক্তারের সঙ্গে আপোষ করার পক্ষে বলে রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন। এদিকে বার বার ভাই ভাই ক্লিনিকে রোগী মৃত্যুর কারনে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে ক্লিনিক বন্ধ ও জরিমানা আদায় করা হলেও মৃত্যুর মিছিল থামছে না।

 

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম জানান, ক্লিনিকটি অনিয়মের কারণে বন্ধ ছিল। কিন্তু তারা শর্ত পুরণ ও কিছু সংস্কার করে আবার চালু করেছে। ওই ক্লিনিকে লিটু নামে একজন মারা গেছে বলে আমি শুনেছি। রোববার আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো কি কারণে মারা গেছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর