আগামী ৫ ডিসেম্বর ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার ৮ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রার্থীরা ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন প্রচারণায়। এই নির্বাচনকে ঘিরে নানারকম নির্বাচনী গান আর মাইকিংয়ে চলছে প্রচারণায়।
প্রার্থীরাও দিচ্ছেন নানারকম প্রতিশ্রুতি। তবে ব্যতিক্রমী প্রচারণার কারণে ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো শরাফত দৌলা ঝন্টু।হরিনাকুণ্ডু উপজেলার ৫ নং কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার অলিগলিতে হাতে হ্যান্ডমাইক আর লিফলেট নিয়ে ভোট চালাচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শরাফত দৌলা ঝন্টু। এবাড়ি থেকে ও বাড়ি ছুটে চলেছেন গরিবের বন্ধু সদালাপী মিষ্টভাষী এই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।
জানা গেছে, বিভিন্ন ওয়ার্ডের রিজার্ভ ভোট বাক্সের কথা। যার একটিই নাম ঝন্টু। বড় বড় নেতাদের ভিড়ের মাঝেও জনগণের ভালোবাসায় শিক্ত,আবারও দেখতে চাই এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশেই অনিচ্ছুক এক পাখি ভ্যান চালক জানান, আবারও চেয়ারম্যান হবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস। এলাকাবাসীরা জানান এই ইউনিয়নের ভোট যুদ্ধে লেভেছেন দুই জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। একজন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মশিউর রহমান জোয়ার্দার। অপর দিকে তুমুল ঝড় তুলে দিয়েছেন নিরঅহংকারী ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা ঝন্টু তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, একজন নীর অহংকার মানুষের গল্পের কথা দিনমজুর, কৃষক, শ্রমীকের প্রিয় চেয়ারম্যান হিসেবে আবারও ৫ নং কাপাশহাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জয়লাভ করে সেবক হয়ে ফিরে আসুক শরাফত দৌলা ঝন্টু। সাধারণ মানুষের আস্থা-ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন এই চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শরাফত দৌলা ঝন্টু । অসংখ্য নেতা-কর্মী-সমর্থক নিয়ে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তিতে এই আস্থা ভালোবাসার ছবি পাওয়া যায়।এমন আবেগময় দৃশ্য প্রতিদিন দেখা যায়।
এদিকে ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঔলা বক্স জানান, এখন পর্যন্ত আমাদের ইউনিয়নে আইন শৃঙ্খলা ভালো আছে। সুষ্ঠ্যু ও ফেয়ার নির্বাচনের আশাবাদী আমি। যেহেতু ঝন্টু গত দুই বছরে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের সেবা দিয়েছেন নিরালশভাবে। স্কুল মসজিদ মাদরাসা মন্দির সহ নানা সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কাণ্ডারি হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আমরা ইউনিয়নে একজন ভালো মানুষ চায়।
এব্যাপারে শরাফত দৌলা ঝন্টুর কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের বলেন, আমি ইউনিয়নে নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলাম। এখনো আছি ভবিষ্যতে থাকবো আমার কোনো স্বপ্ন নেই, আমার জীবনে জনগণই সব। গ্রাম হবে শহর,ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নয়নের মহা সড়কে আবারও মানুষের পাশে দাড়াতে চান এবং সামনের নির্বাচনে কোনো কারচুপি না হলে জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।