ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুর ফলসী ইউনিয়নের শিংগা গ্রামে জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন জাহিদুল ইসলাম, সাজেদুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ,শহিদুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আপন দুই ভাই জাহেদুল ও সাজেদুলর অবস্হা আশংকাজনক।
জানা যায়,সম্প্রতি জি কে সেচ প্রকল্পের আওতায় ফসলী জমিতে সেচ সুবিধার জন্য ক্যানালে পানি ছাড়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফলসী ইউনিয়নের সিঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মুক্তার আলী তার জমিতে সেচ দিতে যান। তার জমি নিচু হওয়ায় সেচ দেওয়ার জন্য তার পার্শ্ববর্তী উচু জমির মধ্য দিয়ে পানি প্রবাহিত করে আনতে হচ্ছিল। এ অবস্থায় তিনি পাশের জমির ভেতর দিয়ে পানি আনতে গেলে জমির মালিক একই গ্রামের সাজেদুল ইসলাম তার জমিতে সম্প্রতি সার দেওয়া হয়েছে বলে জমির ভেতর দিয়ে পানি নিতে বাধা দেন। মুক্তার আলী পানি নিতে জোরাজুরি করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে মুক্তার তার পুত্র সবুজকে ডেকে এনে জোরপূর্বক সাজেদুলের জমির ভেতর দিয়ে সেচের পানি নিতে যান।এ অবস্থায় সাজেদুল ও তার ভাই জাহিদুলের সাথে তাদের চরম বাকবিতন্ডা হয় এবং উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন,বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষই ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জ্বিত হন। এ অবস্হায় উপস্হিত স্থানীয়দের মধ্যস্ততায় বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার রাতে সাজেদুল ও জাহিদুল তাদের গ্রামের মসজিদ থেকে এশার নামাজ শেষে বাড়ির পথে কয়েক পা বাড়াতেই অকস্মাৎ মুক্তার আলীর নেতৃত্বে সবুজ আলী, আব্দার আলী, বকস আলী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালান বলে জানা যায় । এসময় সবুজ আলী হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে সাজেদুল ও জাহিদুলকে গুরুতর আহত করে।
আহত সাজেদুল ইসলামের ভাগ্নে সানোয়ার হোসেন বলেন, সেচ দেওয়া নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির বিষয়টি দুপুরেই মীমাংসা হয়ে গিয়েছিলো। এরপরও মুক্তার আলী ও তার পুত্র সবুজ ক্ষমতার জোরে আমার মামাদের উপর বর্বর হামলা চালিয়েছে।
মুক্তার আলীর সাথে দফায় দফায় বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ার তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
হরিনাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি )
আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, খবর পেয়েই আমরা অতিদ্রুত ঘটনাস্হলে উপস্হিত হয়েছি। এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। হরিনাকুন্ডু থানায় নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কাউকে একচুলও ছাড় দেওয়া হবে না।